একটা কবর পারমিতাকে আরও তিনটা কবরের শোক মনে করায়। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়ায়। তিনটা কবর তাকে এই বাড়িতে ঠেলে দিয়েছিল, আবার এই একটা কবর তাকে অন্য পরিবেশে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু এই কবরগুলো শক্তিশালী, দূরে ঠেলে দিয়েও কত কাছে টানে, এসব কবরকে ভুলে থাকা যায় না। ফিরে আসতে হয়। উপেক্ষা করা যায় না।
হঠাৎ পেছন থেকে কবিরের গলা শোনা যায়। সে কখন পারুর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে ও বুঝতেই পারেনি। কবির বলে, “মাহিমকে ভুলতে পারোনি?”
পারু দ্রুত হাতে চোখ মুছে বলে, “বেঁচে থাকা মানুষকে ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু মরে যাওয়া মানুষকে ভুলে যাওয়া খুব কঠিন। আমাদের কাছে জীবিত দেহের চেয়ে কবরের মূল্য বেশি।”
কবির শুষ্ক মুখে হাসে। বলে, “তবে মরে যাই?”
পারু চমকে ওঠে। ওর চমকে ওঠাটা সামনে দাঁড়ানো মানুষটা স্পষ্ট দেখতে পায়। তারপর স্নেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু ভেতরে কোথায় যেন একটা অন্তর্দাহ হয়। খুব সূক্ষ্ম দহন, কিন্তু যথেষ্ট পীড়াদায়ক।