লিজার যেই রাতে প্রথম বাচ্চা হয়, তার স্বামী শ্রাবণ সেই রাতে পুলিশের হাতে অ্যারেস্ট হয় লাশ চুরির দায়ে। খুব ইচ্ছে ছিল লিজার, তার কঠিন মুহূর্তটুকুতে স্বামী পাশে থাকুক। স্বামীর হাত ধরে সকল ভয় কাটিয়ে দেবে, তার হাতটি শক্ত করে ধরে স্বামী বলবে, ‘পাগলি, আমি তো আছি, ভয় পেয়ো না।’ কিন্তু কিছুই হলো না। শ্রাবণ আসেনি। তাকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এতোদিনের এতো ভালোবাসা, খুনসুটি, ঘোরাঘুরি সব যেন মিথ্যা হতে লাগলো। এই শ্রাবণ আর আগের শ্রাবণের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্রাবণের আচরণ লিজার কাছে অচেনা লাগছে। তার স্বামী শ্রাবণ যেন হঠাৎ পাল্টে গেছে।
গভীর রাতে লিজাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শাশুড়ি এবং দেবর মিলে। শ্রাবণ সেই সময় ব্যস্ত ছিল হাসপাতালের মর্গ থেকে একটা মেয়ের লাশ চুরি করতে। মেয়েটা কে? কী তার পরিচয়? শ্রাবণদের নিচের ফ্ল্যাটের মামুন নামের এক লোক খুন হয়, তাকে দেখতেই মর্গে যায় শ্রাবণ। সেই সময় সে দেখতে পায় মেয়েটির লাশ। মর্গের ডোম থেকে সে জানতে পারে, এক পতিতার লাশ। ডোমের সাহায্যেই সেই লাশটা চুরি করে শ্রাবণ। ধরা পড়ে সে পুলিশের হাতে। পুলিশের জেরায় বেরিয়ে আসে কার লাশ ওটা? কেন শ্রাবণ লাশটা চুরি করলো?