আহানা মুখটা গম্ভীর করে সব এলোমেলো রেখেই উঠে রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে নিলো।সেটা হাতে করে ড্রয়িং রুমের পাশের বারান্দাটায় এসে দাঁড়িয়েছে সে এখন।নিচে সবুজ রঙের আর্টিফিশিয়াল ঘাসের কার্পেট বিছানো। সেটাতে বসে কফিতে চুমুক দিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললো”মনে করার চেষ্টা করলে মাথা ধরে।হ্যাঁ বেশি মনে থাকার কথা না।কেউ একজন ছিল আমার জীবনে।সে আমার একটামাত্র পরিবার ছিল।আমার আপন মানুষ ছিল।সে ছিল আমার “ভালো”।আর আজ আমার সব হয়েছে অথচ সেই মানুষটা নেই।তার চেহারা মনে করতে গিয়েও পারছি না।একবার তার হাসিমাখা ঠোঁটের ছবি সামনে ভেসে ওঠে তো অন্যবার তার দুটি চোখ একসাথে। তার চেহারা আমি কেন দেখি না।সে যদি সত্যিই আমার জীবনের অংশ ছিল তাহলে এখন সে কেন নেই?আমি কেন তাকে পাই না।ওরা বলেছিল তাকে আমি ঢাকায় আসলে পাবো।নাহ পাইনি তো।আজ এতগুলো বছর ধরে আমি এখানে আছি শুধুমাত্র তাকে একটিবার দেখার তাগিদে।পরিবার ছেড়ে এখানে একা থাকছি তাও তো পেলাম না তারে।সে কি আমায় মনে রেখেছে?সেও কি আমার মতন সব ভুলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।আমি ভুলতে চাই না তাও স্মৃতি থেকে একটা একটা করে অংশ মুছে যায় আমার।একটা মানুষ কতটা আপন হয় তা টের পাওয়া যায় সে দূরে চলে গেলে আর আমি তো এতবছর ধরে টের পেয়েই যাচ্ছি।আর কত অপেক্ষা করবো?