সন্ধ্যা তন্ময় হয়ে কিছু একটা ভাবছিল। আচমকা কেঁপে উঠলো সে। কারও হাতের আঙুল ওর পাঁচটি আঙুলের ফাঁক গলে ঢুকে পড়েছে৷ সন্ধ্যা সেদিকে তাকালো না। নীরবে কেবল অনুভব করলো। ভালোবাসার কথা মানুষ কতভাবে যে জানান দেয়। কেউ ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে। কেউ চলার পথে শুধু দূর থেকে করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে। রাহাত কীভাবে জানালো? হাতে হাত ধরে? হঠাৎ আকাশে বজ্রপাতের প্রচণ্ড জোরে শব্দ হলো। কেঁপে উঠলো রাহাতের হাত। কিন্তু হাত না সরে আরও শক্ত হলো বাঁধন। সন্ধ্যা বাইরে তাকায়, মৃদু বাতাস বইছে। রাস্তার দু’পাশের উঁচু উঁচু পাহাড়কে চাদরের মতো জড়িয়ে রেখেছে সবুজ চা গাছ। কী সুন্দর পৃথিবী। সন্ধ্যা জল ছলছল চোখ তুলে রাহাতকে দেখে। মুচকি হাসছে মানুষটি। সন্ধ্যাও চায় তাকে আঁকড়ে ধরে এই হাসি জীবনভর রাহাতের মুখে অটুট থাকুক। কিন্তু সন্ধ্যা তো এই ইচ্ছার কাছে পরাজিত হবার মতো দূর্বল মেয়ে নয়। সে প্রচণ্ড পছন্দের মানুষকেও প্রত্যাখ্যান করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে।