ইনসাইড দ্যা কভার’ নামটাই কেমন যেন রহস্যময়। নামের মতো উপন্যাসটাও থ্রিলার, বাস্তবতা নির্ভর এবং রহস্যের সংমিশ্রণে সৃষ্ট। মূলত উপন্যাসটি লেখিকার জীবনে সংঘটিত কিছু ঘটনাবলির উপস্থাপনের মাধ্যমে রচিত। যার কারনে উপন্যাসের সমস্ত চরিত্র, স্থান, কাল এবং ঘটনা সত্য। যার মাধ্যমে লেখিকা সুহাসিনী নামক চরিত্রে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। উপন্যাসের মূল চরিত্র সুহাসিনী। উদ্ভট ও চঞ্চল প্রকৃতির সুহাসিনী প্রভাবশালী ও ধনী পরিবারের সন্তান। সুহাসিনীর মাঝে যে বৈশিষ্ট্য প্রকট তা হলো উদ্ভট কথাবার্তা দ্বারা শ্রোতাকে চরম বিরক্তির স্বীকার করা। আর সুহাসিনী মেয়েটি তার নিখাদ হাসি দিয়ে সবার মনে প্রভাব ফেলতে পারে। যার কারণে সবার কাছে সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবেও পরিচিতি পায় সুহাসিনী। প্রত্যেক ব্যক্তির মতো সুহাসিনীও কিছু কঠিন স্বপ্ন দেখতো। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন একটা ঘটনা সবকিছুকে মূহুর্তেই ওলটপালট করে দেয়। যেটি সুহাসিনীর পরিবারকে মুহূর্তে ধনী থেকে মধ্যবিত্তে নিয়ে আসে। যেটি সুহাসিনীর স্বপ্নগুলোকে ধূলিসাৎ করে দেয়। যে সুহাসিনী এককালে দরিদ্রদের সাহায্য করতো সে সুহাসিনীকে অন্যের কাছে সাহায্যের আবেদন করতে হচ্ছে। কী এমন ঘটেছিল সুহাসিনীর সাথে? সে আর তার পরিবার কি সেই অকূল পাথার হতে উদ্ধার পেয়েছিল? না কি তলিয়ে গিয়েছিল অতল গহ্বরে? উপন্যাসটিতে অনেক কিছু শেখার আছে। কীভাবে সকল কিছুর মাঝে সুখ খুঁজে নিতে হয়, কীভাবে কিছু কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়, কীভাবে স্বার্থের রাজনীতি কারো জীবনে প্রভাব ফেলে এমন অনেক কিছু তথ্য দেওয়া আছে উপন্যাসে। তবে উপন্যাসে সবথেকে চমকপ্রদ বিষয়টি হচ্ছে ফোনকলের এক রহস্যময় কাল্পনিক ব্যক্তি। যার পরিচয় না পাওয়া পর্যন্ত, যাকে নিয়ে রহস্যের উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত পাঠক তাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য।