ফ্ল্যাপ- ফেরারী মুচকি হাসে। সানজানা চৌধুরীর দিকে রহস্যভরা হাসিতে চেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপর বলল,
-এখন কত বাজে বলুন তো?
– রাত সাড়ে এগারোটা।
-উঠুন।
– কোথায় যাবে তুমি?
-আমি একা নই। আপনাকেও যেতে হবে।
-এই রাতে?
– ফেরারীর যে রাতদিন বলে কিছু থাকে না, তা আপনি ভালো করেই জানেন।
সানজানা আর প্রশ্ন করে না। সে জানে, এই মেয়েটা এখন কোথাও যাবে বলে মনস্থির করলে, সেখানে যাবেই। চেয়ার থেকে উঠে বাইরের দরজার দিকে পা বাড়াতেই ফেরারী খপ করে তার হাত ধরে ফেলল। তারপর জিজ্ঞাসা করল,
-এদিকে কোথায় যান?
– তুমিই না বললে বাইরে বের হবে এখন…
-যাবো। তবে এদিক দিয়ে যাওয়া যাবে না।
ফেরারী সদর দরজাটা লাগিয়ে আবার ভিতরে এসে দাঁড়াল। ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে পিছন দিকে যে বারান্দা,সেখানে এসে সে সানজানাকে ইশারা করে ডাকে। সানজানা এগিয়ে এসে সেখানটাতে দাঁড়াতেই অবাক হয়ে যায়। ছোট একটা পোক্ত দরজার পাশ দিয়ে একটা সিঁড়ি নেমে গেছে একেবারে নিচ পর্যন্ত। যে কেউ সচরাচর সিঁড়িটা খুঁজেও পাবে না। অদ্ভুতুড়ে মানুষটার মতো পদ্ধতিগুলোও ভারি অদ্ভুত।