লোকটা যেন কিছুটা আঁতকে উঠল । বেশ কিছুক্ষণ আমতা আমতা করে জবাব দিল, – দোতলার একটা রুমে আমার যে একটু জরুরি কাজ রয়ে গেছে গেছে আপা । ওটা শেষ করেই চলে আসছি । মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যাপার । লোকটা আর দাঁড়ায় না । দ্রুত গতিতে লিফটের সামনে চলে যায় । তার বিশাল কাজের তাড়া । ফেরারী কয়েক মুহুর্ত তার পথের দিকে চেয়ে থেকে একটু জোর গলায় বলে উঠল , – তাহলে আপাতত থাকুক না । আমরা বাইরে যাচ্ছি খেতে । ফেরার পর আপনাকে জানিয়ে দেবো । আরিয়ান হাসে । হাসার মতোন আপাতত এই মুহুর্তে কোনো উপলক্ষ্য নেই । তবু তার মুখে হাসি । তার মনে কী চলছে , তা এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের দ্বিতীয় কারো জানার কথাও না । অবশ্য জগতে সবাই সবার মনের খবর জানতে পারলে এত বিরহ , এত বিচ্ছেদ কী আর হত ! রেস্টুরেন্টে একটা টেবিলের চর্তুদিকে চারটা চেয়ারে গিয়ে বসল আরিয়ানরা । ফেরারী বসেছে আরিয়ানের বাম হাতের দিকে । আরিয়ানের মুখটা বড্ড মলিন দেখাচ্ছে । কেউ খেয়াল না করলেও ফেরারীর অবশ্য চোখ এড়ায়নি । ফেরারীর চোখ এড়ানোর মতোন ক্ষমতা অবশ্য এখানে কারোর নেইও । মাথা নিচু করে আরিয়ানের দিকে ঝুঁকে সে জিজ্ঞাসা করল, – আপনি কোনো বিষয়ে মনে হচ্ছে চিন্তায় আছেন। – কই না তো । – চিন্তা করলে মানুষের কপাল কুঞ্চিত হয় । ঠোঁটগুলো শুষ্ক এবং ভাঁজ হয়ে আসে । মুখের উজ্জ্বলতা কমে যায় । জানেন তা ? -আপনি তো দেখছি পুরো গবেষণা করে ফেলেছেন এই বিষয়ে । – হ্যাঁ । মানুষের মুখের সুপ্ত ভঙ্গি দেখলেই বুঝে নিতে জানি ,সে কোন মুডে আছে । তো এবার আপনার চিন্তার কারণটা কী বলুন তো ?