“আঁধার রাতের মুসাফির” বইয়ের পিছনের লেখা:
আর মাত্র ছ‘ক্রোশ। গভীর আগ্রহে পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে রানী তাকিয়ে ছিলেন আলহামরার মিনার চূড়ায়। ছাউনী ফেললেন ফার্ডিনেন্ড। চূড়ান্ত আঘাত হানার প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায়। চারদিকে বিছিয়ে দিয়েছেন ষড়যন্ত্রের কুটিল জাল! সে জালের রশি ধরে। এবার শুধু টানার পালা। এমনি সময়ে সহসা স্পেনের উপকূলে উদয় হলাে তুর্কী রণতরী। প্রথম অভিযানেই তারা উদ্ধার করলাে বিপ্লবী নেতা হামিদ বিন জোহরাকে। জাহাজকে বিদায় জানিয়ে উপকূলে নেমে এলেন কাপ্তান সালমান। কিন্তু কেন? স্পেনের মাটিতে কী তার কাজ? যে জাতির সুলতান অথর্ব আর উজির গাদ্দার তাদের পতন কি। ঠেকাতে পারবেন তিনি? পারবেন কি হামিদ বিন জোহরার হত্যা প্রচেষ্টা। রুখতে? কেন তিনি একের পর এক অবিশ্বাস্য বিপজ্জক অভিযানে মেতে উঠছেন? কীসের স্বার্থে? কেন? গ্রানাডা কন্যা আতেকার পেছনে। ছুটছে দুর্বত্ত ওতবা ও ওমর। রক্তের নেশায় পাগল হয়ে উঠেছে এরা। হন্যে হয়ে খুঁজছে তার প্রেমিক পুরুষ সাঈদকে। এদের কি বাঁচাতে পারবেন সালমান? কী হবে অপহৃত মনসুরের পরিণতি? কার জন্য মালা গাঁথছে বদরিয়া? কেন ভীনদেশী এক পুরুষের জন্য প্রাণ কাঁদে তার?