আজ থেকে অর্ধশতাব্দী আগে কালজয়ী কথাশিল্পী নসীম হিজাযী একটি ব্যতিক্রমী উপন্যাস লিখেন। বইয়ের নাম দেন ‘সফেদ জাযিরা’। শাদা উপদ্বীপ নামের এক দ্বীপদেশে কিং সায়মন নামের এক স্বৈরাচারী শাসক জনগণের জন্য কি অবর্ণনীয় দুঃখ ও দুর্দশা ডেকে এনেছিলেন তারই এক ভয়াবহ চিত্র এঁকেছেন তিনি এ বইয়ে। অর্ধশতাব্দী আগে সে চিত্র ছিল কল্পনার বিষয় কিন্তু কয়েক দশক না পেরােতেই পৃথিবীর মানুষ অবাক বিস্ময়ে সেই ছবি দেখতে শুরু করলাে নিজের চোখে। অদ্ভুত সব চরিত্র, নাটকীয় ঘটনা প্রবাহ আর স্বৈরাচারী শাসকের বিচিত্র খামখেয়লীপনা ও হাস্যকর কাজকর্মের নিখুঁত ছবি যেমন আছে এ বইয়ে তেমনি আছে সম্রাজ্ঞী রােজ ও শাহজাদী লিকাসকার সরকার উৎখাতের গােপন তৎপরতা, ধর্মগুরু ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা, রহস্যময় রকেট প্রসঙ্গ, অভূতপূর্ব গণবিস্ফোরণ, মাদাম লুইজার অভিলাষ, চেরাগ সিংয়ের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী শাসকের কবল থেকে মুক্তির বিচিত্র সব কাহিনী। পুরাে ঘটনা দেখেন সে দেশে অবস্থানরত একমাত্র বিদেশী সাংবাদিক শানকু মানকু। তার গভীর পর্যবেক্ষণ ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। জনগণের অসচেতনার কারণে কেমন করে তাদের মাথার ওপর চেপে বসলাে স্বৈরাচার, আবার কেমন করে জনতার ঐক্যের উত্তাল জোয়ারে সে স্বৈরাচার ভেসে গেল সময়ের স্রোতে সেইসব চমকপ্রদ ও মজাদার কাহিনী নিয়েই বেরােল নসীম হিজাযীর আরাে একটি জমজমাট উপন্যাস ‘কিং সায়মনের রাজত্ব’।