“আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটেঙ্গল” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ভারতে ব্রিটিশ ছাড়’ আন্দোলন ও ব্রিটিশ বিরােধী বিপ্লবী তৎপরতা এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যখন ভারতকে স্বাধীনতা দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছিল তখন পাঞ্জাবে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রচিত ‘আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটিঙ্গেল’ খুশবন্ত সিং-এর দ্বিতীয় উপন্যাস। কাহিনির সূচনা হয়েছে শের সিং ও তার বিপ্লবী বন্ধুদের দিয়ে, যারা পাঞ্জাবে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-এর জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করছিল। অন্যদিকে শের সিং-এর পিতা সরদার বুটা সিং একজন ম্যাজিস্ট্রেট, যার মাঝে ব্রিটিশ সরকার ও জনগণ উভয়ের জন্যই আজন্ম আনুগত্য বিদ্যমান। পিতা-পুত্রের চিন্তাভাবনার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান, দুজনই নিজ নিজ অহঙ্কারে অটল।
মানুষের জীবনের অনিবার্য উপসর্গ যৌনতা এবং খুশবন্ত সিং তা উপন্যাসের একটি চরিত্র খ্যাতিমান ক্রিকেটার কামলিন্দু মদনকে যুগপৎ শের সিং-এর স্ত্রী চম্পক ও বােন বীনার সঙ্গে প্রণয়লীলা চালানাের ভূমিকা দিয়েছেন, যদিও মদন বিবাহিত। শের সিং-এর মা সরদারনি সাবরাই একজন খাটি শিখ হিসেবে। ধর্মনিষ্ঠ নারী হিসেবে উপন্যাসে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি চরিত্র। তাঁর মাতৃত্বের শক্তি প্রতিটি সংকটে পরিবারকে রক্ষা করে। কাহিনির এক পর্যায়ে শের সিং তার গােপন বিপ্লবী তৎপরতার কারণে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং দ্বিধার মধ্যে পড়ে যায়। যে, কী করে সে নিজেকে পিতার শ্রমলব্ধ সুনাম এবং তার বিপ্লবী বন্ধুদেরকে রক্ষা করবে।
ম্যাজিস্ট্রেট বুটা সিং-এর ব্রিটিশ সেবায় তুষ্ট ডেপুটি কমিশনার মি. টেইলরের অনুকম্পায় শের সিং মুক্তি লাভ করে এবং সেই মুক্তিকে সে বীরােচিতভাবে পালনের কৌশল অবলম্বন করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার উদ্দেশে। উপন্যাসে কাহিনির পাশাপাশি খুশবন্ত সিং অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উপমহাদেশের সংস্কৃতি, ধর্ম চর্চা, প্রচলিত কুসংস্কার এবং দেশের পুরুষ ও নারীর জীবন। আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটঙ্গেল’ খুশবন্ত সিং-এর অন্যতম সেরা উপন্যাস।