খুঁত খুঁতে, বদমেজাজী স্ত্রীর সঙ্গে তেরাে বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার পর লাখােপতি ব্যবসায়ী মােহন কুমার জীবনকে নতুন করে আবিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলো। ‘কামনাই প্রেমের সত্যিকারের ভিত্তি’ – এই আপ্তবাক্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে এক দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাে। আর সে অনুযায়ী মােহন কুমার বিজ্ঞাপন দিলাে যে, অর্থের বিনিময়ে সে প্রমীলা সঙ্গ পেতে ইচ্ছুক—যারা তার বিছানার এবং জীবনের ভাগীদার হবে। এভাবেই কতিপয় প্রমীলার সান্নিধ্যে তার সহজ, লাগামহীন যৌনতার যাত্রা শুরু। সারােজিনী ভরদ্বাজ-হরিয়ানার এক ছােট্ট শহরের অধ্যাপক। সে তার উদগ্র কামনায় এবং তীব্র যৌন ক্ষমতায় মােহন কুমারকে চমকে দিলাে। গােয়ার মেয়ে মলি গােমেজ, এক পেশাজীবী অঙ্গসংবাহক-শরীরকে উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত করায় তার ছিলাে দারুণ মুন্সিয়ানা। আর সুশান্তিকা গুনাতিলেক –শ্রীলঙ্কার ছােটখাটো গড়নের এই রমণীর ছিলাে ভীষণ সম্মােহনী শক্তি। প্রতিটি সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর এবং পরবর্তী সম্পর্ক শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত মােহন তার একান্ত বাধ্য পরিচারিকা ধান্যর অভ্যস্ত সান্নিধ্যে সান্ত্বনা খুঁজে নিতাে এবং তার প্রথম প্রণয়নীদের স্মৃতি রােমন্থন করে সময় কাটাতাে; বিশেষ করে আমেরিকার জেসিকা ব্রাউন যে তার কৌমার্য মােচন করেছিলাে; আর পাকিস্তানী ইয়াসমীন ওয়াচ তার চাইতে বেশি বয়সী এই রমণীর ভীষণ মত্ততায় তাকে কাছে টেনে নেয়ার স্মৃতি সে তারিয়ে তারিয়ে উপভােগ করতাে।
. ভারতের সবচেয়ে বেশি পঠিত লেখক খুশবন্ত সিংয়ের দীর্ঘ দশ বছর বিরতির পর লেখা। উপন্যাস ‘দি কোম্পানি অব ওম্যান’ (প্রমীলা সংসর্গ) অদম্য, কামদ এবং যৌনােন্মাদনার প্রচণ্ড আবেগের ফল্গুধারায় স্নাত এক অনিশেষ সুখছােয়ার আকর।