লালমিয়া একরাতে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই তার যেন ভয় করতে লাগল। মনে হলো, কেউ যেন বলছে, ‘যেয়ো না লালমিয়া, দাঁড়াও। একটু শুইনা যাও।’
সে বার কয়েক দোয়া দরুদ পড়ে আশে-পাশে ফুঁ দিলো। তারপর বাড়ির দিকে দ্রুত পা চালাল। কিছু দূর যেতেই তাঁর সামনে একটা দাঁড়কাক এসে বসলো। দাঁড়কাকটা মিলিয়ে গিয়ে দেখা দিল একটা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরা বউ। লালমিয়া ঘেমে উঠল। তাঁর মনে হলো বউটা আর কেউ নয়, সাজু! সে এবার সামনে এসে দাঁড়াল। নাকী সুরে বলল, ‘আমারে নিয়া যাও, আমি যে তোমার বউ। আজ তোমার কিছুতেই যাইতে দিমু না।’
এই বলে সে লালমিয়ার জামা ধরে টান দিল। ভোরে গ্রামের লোকজন দেখতে পেলো, কাজলা দিঘির পাড়ে কাদার ভেতর লালমিয়ার মৃতদেহ পড়ে আছে। মাথাটা কাদার ভেতর, আর পা দুখানা উপরের দিকে তোলা। ওই অবস্থা দেখে বুড়ির মাথা খারাপ হয়ে গেল। লালমিয়াকে কবর দেওয়া হয় সাজুর কবরের পাশে। গাঁয়ের লোকে বলে, ‘লালমিয়াকে সাজুই পেত্নি হয়ে মেরে ফেলেছে।’