শাহরিয়ার শৈশবে এতিম, তারুণ্যে হয়েছে পরান্নপুষ্টে। সমবয়সীদের মতো রঙিন চমশার ভেতর দিয়ে পৃথিবীটা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। জীবনের রূঢ় বাস্তবতার চপেটাঘাতে বার বার সংকুচিত হয়ে উঠেছে জীবন, নত হয়েছে মাথা। উজানে ভেসে যাওয়া কচুরিপানার মতো ভাসতে থাকে জীবন! ভাসতে ভাসতে একপর্যায়ে মামাবাড়ি থেকে ঠাঁই হয় খন্দকার বাড়িতে। দুমুঠো ভাত, মাথার ওপর একটুখানি ছাদের বিনিময়ে এ বাড়ির গৃহশিক্ষক হয়। চোখে তার একটাই স্বপ্ন বড়ো হতে হবে, অনেক বড়ো। লক্ষ্য যখন গলগ্রহের জীবন থেকে পরিত্রাণের, তখনই দেখা নিজেরই মতো ভাগ্য বিড়ম্বিত এক বালিকার সাথে। খন্দকারের ভাতিজি এবং আশ্রিতা চতুর্দশী কাজরি। মেয়েটি ভারি মুখচোরা। কিন্তু এই মুখচোরা মেয়েটির প্রতি বিশেষ করুণা জাগে শাহরিয়ারের। যেই অনুভূতিকে করুণা, সহমর্মিতা বলে মনে ঠাঁই দিলো- সে জানে না, এই করুণা সময়ের আবর্তে কতটা ওপরে গিয়ে ঠেকবে। প্রভাবিত করবে তার সমগ্র জীবনটাকে।
বই থেকে,
❝বিশেষ একজন থাকে যে কেবল দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে না, হৃদয়কেও আকৃষ্ট করে। তারপর ধীরে ধীরে হৃদয়ে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তোলে। হয় হৃদয়জ।❞