পৃথিবীর ইতহাসে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মুক্তিকামী ভাষণের কথা আমরা জানি, কিন্তু সকল মুক্তিকামী মানুষের জন্য দেয়া ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি অন্যতম এক নম্বর ভাষণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই। তাইত, ইউনেস্কো এখন এই ভাষণটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা তাই গর্ব বোধ করি, এমন একজন নেতা আমরা পেয়েছিলাম, যিনি আমাদেরকে একটি ঠিকানা বা একটি দেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ভাষণটি দিয়েছিলেন তখন পুরো দেশ ছিল পাকিস্তানি সামরিক শাসনের আওতায়। দেশে যখন সামরিক শাসন থাকে তখন জনগণের ইচ্ছার কোন দাম থাকে না। সাধারণ মানুষের তখন কথা বলার বা প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। শাসকেরা তখন অস্ত্রের জোরে তাদের ইচ্ছেমতো দমন-পীড়ন করতে পারে।
১৯৭১ সালে আমাদের বাংলাদেশটি ছিল পাকিস্তানের একটি অংশ। আমাদের পূর্ব বাংলাকে তখন জোর করে নাম দেয়া হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। সে সময় পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিল করে দেন, যে কারণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বলতে গেলে দেশটি তখন কার্যত অচলই হয়ে পড়ে, যা কিছুই চলছিল তাও বঙ্গবন্ধুরই নির্দেশে। ঠিক তখুনি পূর্ব বাংলার জনগণ একটি দিক-নির্দেশনার জন্যে অপেক্ষা করছিল । আর সেই দিক-নির্দেশনাটি ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি ফুটে ওঠে।
ইতিহাস পড়তে শিশু-কিশোরদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিশু-কিশোর যাতে বিভ্রান্ত না হয়, তাই তাদের মতো করে সহজ পাঠ দরকার। বইটি শিশু-কিশোরদের জন্য। শিশু-কিশোর’রা বইটি পাঠে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় তাদেরকে বিকশিত করতে পারবে।