‘অপেক্ষায় কোন আনন্দ নেই। পৃথবী আপুর জন্য অপেক্ষা অনেক মধুর’। বইটি পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে স্বেচ্ছায় প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে এই পৃথিবী আপু কে? শুভ্র কেনো তার জন্য মধুর অপেক্ষা করে। শুভ্র তাকে কেনো এতো ভালোবাসে? এই ভালোবাসার গন্তব্য কি? শুভ্র কেমন করে পৃথিবী আপুকে চেনে?
যখন পৃথিবী আপু এবং শুভ্রকে পাঠক চিনতে পারবেন তখন মেঘলা দিনে দুপুরের সূর্যের মতো উঁকিমারা প্রশ্নগুলো বোধ করি একটি দীর্ঘশ্বাসের পাখি হয়ে উড়ে যাবে। বিভা, শুভ্র, পৃথিবী এবং খোকন স্যার আমাদের চারপাশের চেনা—জানা চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রই এক—একটি প্রশ্নবোধক চিহৃের দায় কাঁধে নিয়ে কৌতুহলী পাঠকের কাছে হাজির করেছেন কথাসাহিত্যিক সাগরিকা নাসরিন। এ কথা তো আমাদের সকলেরই জানা যে, পাঠকের হৃদয়ে প্রশ্নের জন্ম দেওয়া সহজ কাজ নয়। অত্যন্ত সহজ ভাবে‘ ইয়োলো বেল্ট’ গল্পে কথাশিল্পী বাবুই পাখির বাসার মতো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। যা হৃদয় কে একেবারে নড়িয়ে দিয়ে যায়!