এতদিন ধরে যেই আকাঙ্ক্ষা, যেই পিপাসা, তৃষ্ণা আমার চক্ষুদ্বয়ে ছিল আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আমি আরও একবার দেখতে পেয়েছি আমার প্রিয়দর্শিনীকে। কিন্তু এবার যে আমার ইচ্ছে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, আল্লাহ্। মানুষ স্বভাবসুলভভাবেই লোভী প্রজাতির, আমিও বোধহয় তার ব্যতিক্রম নই। এবার যে প্রিয়দর্শিনীকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়ার তৃষ্ণা জেগেছে মনে!
রবী ঠাকুরের “চক্ষে আমার তৃষ্ণা” সঙ্গীতটির এই লাইনটা যেন মানবজীবনের কিছু কিছু মানুষের মনে প্রকট আকার ধারণ করে। তৃষ্ণা মেটানো কারো কারো পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। কারো বা সেই তৃষ্ণা মিটে; আবার কারো বা মিটে না। ‘চক্ষে আমার তৃষ্ণা’ নামকরণের এই উপন্যাসটির প্রায় চরিত্রের মাঝেই এমন কিছু তৃষ্ণা আছে যেগুলো মেটানো শুধু প্রয়োজনই নয় বরং আবশ্যক বটে। একেকজনের চোখের এই তৃষ্ণা, পিপাসা কী শেষ পর্যন্ত মিটবে?