ক্ষমতা

৳ 300.00

লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল
প্রকাশক অবসর প্রকাশনা সংস্থা
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848793398
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৯১
সংস্কার 1st Published, 2011
দেশ বাংলাদেশ

সামাজিক গতিবিদ্যার মূলচাবি মার্ক্স খুঁজে পেয়েছেন সম্পদে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড অনুসন্ধান করেছেন যৌনতায়, বার্ট্রান্ড রাসেল অনায়াসে এবং বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এটা আবিষ্কার করেছেন ক্ষমতায়। এই বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ সালে তখনই সবাই উপলব্ধি করেছেন যে সরকার সম্পর্কিত যে সুপ্রাচীন সমস্যা বিদ্যমান তা পুনরায় বুঝতে হলে এটি পড়া দরকার। লেখক বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন ক্ষমতা কি কি রূপ ধারণ করে সাধারণের নজর কাড়তে পারে, এর বিভিন্ন অঙ্গের সীমাবদ্ধতা এবং মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাখ্যা করেছেন আর বলেছেন ক্ষমতা বশীকরণের জন্য কেমন আদর্শ এবং নৈতিক বিধি কার্যকর হতে পারে। সবশেষে তিনি জোর দিয়েছেন এই উপলব্ধির উপর যে আজকের দিনে ক্ষমতা বশীকরণের বিকল্প থাকতে পারে না। কারণ ‘বিজ্ঞান অনিবার্য করে তুলেছে যে আমরা সবাই বাঁচবো, অথবা সবাই মরবো।’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে হ্যারল্ড নিকলসন লিখেছিলেন, সকল চরমপন্থা সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার জন্য আমাদের সকলের এ বইটি পড়া দরকার। রাজনৈতিক তত্ত্ব বিষয়ে যারা হতাশার গহন আঁধারে দিশাহীন তারাও এটি পড়ে আশার আলো দেখতে পাবেন। b’ক্ষমতা’ বইয়ের সূচিপত্রbr/b অধ্যায় ১ ক্ষমতার প্রতি অনুভূতি……….১১ br অধ্যায় ২ নেতৃবৃন্দ ও অনুসারিগণ ……….১৬ br অধ্যায় ৩ ক্ষমতার বিভিন্ন রূপ………. ২৭ br অধ্যায় ৪ যাজকীয় ক্ষমতা ……….৩৬ br অধ্যায় ৫ রাজকীয় ক্ষমতা ……….৫০ br অধ্যায় ৬ নগ্ন ক্ষমতা………. ৫৫ br অধ্যায় ৭ বৈপ্লবিক ক্ষমতা ……….৬৯ br অধ্যায় ৮ অর্থনৈতিক ক্ষমতা ……….৭৮ br অধ্যায় ৯ ক্ষমতা ও অভিমত ……….৮৮ br অধ্যায় ১০ ক্ষমতার উৎস হিশেবে নীতিসর্বস্ব মতবাদ ……….৯৩ br অধ্যায় ১১ সংগঠনসমূহের জৈবিক পরিচয় ……….১০০ b’ক্ষমতা’ বইয়ের সূচিপত্রbr/b অধ্যায় ১ ক্ষমতার প্রতি অনুভূতি……….১১ br অধ্যায় ২ নেতৃবৃন্দ ও অনুসারিগণ ……….১৬ br অধ্যায় ৩ ক্ষমতার বিভিন্ন রূপ………. ২৭ br অধ্যায় ৪ যাজকীয় ক্ষমতা ……….৩৬ br অধ্যায় ৫ রাজকীয় ক্ষমতা ……….৫০ br অধ্যায় ৬ নগ্ন ক্ষমতা………. ৫৫ br অধ্যায় ৭ বৈপ্লবিক ক্ষমতা ……….৬৯ br অধ্যায় ৮ অর্থনৈতিক ক্ষমতা ……….৭৮ br অধ্যায় ৯ ক্ষমতা ও অভিমত ……….৮৮ br অধ্যায় ১০ ক্ষমতার উৎস হিশেবে নীতিসর্বস্ব মতবাদ ……….৯৩ br অধ্যায় ১১ সংগঠনসমূহের জৈবিক পরিচয় ……….১০০

(১৮ মে ১৮৭২ – ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক.যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" দর্শনশাস্ত্রে মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজম এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার।
রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাঁকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাঁকে আবার কারাদনণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ১৯৭০ সালে বারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ