‘সেরা কিশোর কল্পবিজ্ঞান’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
অল্পবিজ্ঞান গল্পবিজ্ঞান কল্পবিজ্ঞান…
অল্পবিজ্ঞান আর গল্পবিজ্ঞানের মিশেল দিয়ে তৈরি কল্পবিজ্ঞান। সহজ কথায় এ-ভাবেই বোধহয় ব্যাখ্যা করা যায় কল্পবিজ্ঞান-কাহিনীকে। বিজ্ঞানকে কেন্দ্রবিন্দু করে গড়ে ওঠা আকর্ষণীয় এক কল্পকাহিনী ১৮১৮ সালে কল্পবিজ্ঞান বা সায়েন্স ফিকশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। উপন্যাসটির নাম ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন : অর, দ্য মডার্ন প্রমিথিউস। লেখিকা মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট শেলি—প্রখ্যাত ইংরেজ কবি পি. বি. শেলির স্ত্রী। টিন-এজার হিসেবে উপন্যাসটি লেখার কাজ শুরু করেছিলেন মেরি শেলি, আর সেটি বই হয়ে বেরোয় তিনি একুশ পেরনোর আগেই। উপন্যাসটির কিশোর-সংস্করণ ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ নামে সুপরিচিত। আজ, একুশ শতকের দোরগোড়ায় পৌঁছেও এই উপন্যাসটির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। এইভাবেই পাশ্চাত্য সাহিত্যে একটি নতুন শাখা জন্ম নিয়েছিল ১৮১৮ সালে। আর বাংলা সাহিত্যে এ-জাতীয় গল্পের প্রচলন ১৮৯৬ সালে—স্বয়ং আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কলমে। পরে বহু নামী-দামি লেখক নিয়মিত চর্চায় এই শাখাকে সমৃদ্ধ করেছেন। বড়দের উপযুক্ত কল্পবিজ্ঞান যেমন লেখা হয়েছে, তেমনই রচিত হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী কল্পবিজ্ঞান। তবে বাংলা সাহিত্যে শেষ ধরনের কল্পবিজ্ঞান-কাহিনীই লেখা হয়েছে বেশি। কল্পবিজ্ঞানের গল্প মানেই শুধু নীরস বিজ্ঞানের একঘেয়েমি নয়, তার সঙ্গে মিশে থাকে কৌতূহল-জাগিয়ে-তোলা আকর্ষণীয় নতুন স্বাদের কাহিনী—যা পাঠককে ভাবাবে নতুন দিনের কথা, নতুন জীবনের কথা।
সূচিপত্র
* ঘনাদার চিংড়ি-বৃত্তান্ত – প্রেমেন্দ্র মিত্র ১১
* শর্টকাট – লীলা মজুমদার ২৯
* টিটিঙ্গি-পাহাড়ের দেবতা – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য ৩৭
* ডাঃ দানিয়েলির আবিষ্কার – সত্যজিৎ রায় ৪৯
* সেই রহস্যময় কুয়াশা – বিমল কর ৬২
* ক্যাপ্টেন – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৭৩
* ঘটোৎকচের জাগরণ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ৮০
* বেলুন-পাহাড়ের বিচিত্র কাহিনী – অদ্রীশ বর্ধন ৮৯
* কাদের মিয়ার কান – সমরজিৎ কর ১০১
* মেঘ-চোর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১১৯
* কলম্বাসের বাবা – এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায় ১২৮
* উলট-পুরাণ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৩৬
* স্বপ্নসম্ভব – সমরেশ মজুমদার ১৪২
* আর মনখারাপ হবে না – শেখর বসু ১৫২
* মায়াবী – দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫৯
* টাইম মেশিনের টোপ – সিদ্ধার্থ ঘোষ ১৬৭
* বাতিক – অমিত চক্রবর্তী ১৭৬
* করঞ্জাক্ষর কাজের লোক – কিন্নর রায় ১৮৫
* ঝিঁজো – দিলীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩
* নেশা – স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২
* বিদিশার নিশা – সঙ্কর্ষণ রায় ২১৫
* আশ্চর্য চুরি – নিরঞ্জন সিংহ ২২০
* বঙ্কুবাবুর গল্প – বিমলেন্দু মিত্র ২২৬
* বখেড়া – সুকুমার ভট্টাচার্য ২৩৩
* অণুঘ্রাণ যন্ত্র – বেবন্ত গোস্বামী ২৪৬
* চৈতন্যচরণ – পরেশ দত্ত ২৫৩
* শেষ ফেরি – অমরজ্যোতি মুখোপাধ্যায় ২৬৩
* শচীদাসের খেল – সুধীন্দ্র সরকার ২৭২
* রঙের রহস্য – চঞ্চল পাল ২৮১
* অচেনা শত্রু – অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ২৯০
* ‘আ—’ মানে – শুভমানস ঘোষ ৩০৬
* বুদ্ধি যদি বৃদ্ধি পায় – অনীশ দেব ৩১৪