“কায়সার ও কিসরা” বইয়ের ভূমিকা থেকে নেওয়া:
সাহিত্যকে বলা হয় জীবনের প্রতিচ্ছবি। আর ইতিহাস হচ্ছে কাল ও জাতির দর্পণ। এ দর্পণে দৃশ্যমান বিভিন্ন সময়ের ঘটনা বিশ্লেষণ করে জাতি তার আত্মপরিচয়ের সৌভাগ্য লাভের পাশাপাশি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার পাথেয় যােগাড় করতে পারে। সাহিত্যের একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে উপন্যাস। সাহিত্যের এ বৃহত্তর ক্যানভাসে কাল ও জীবনের ছবি ওঠে আসে অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে। এক্ষেত্রে সামাজিক উপন্যাস যেমন পাঠককে সমাজ-সচেতন করে তােলে, তেমনি ঐতিহাসিক উপন্যাস পাঠককে করে তােলে ইতিহাস সচেতন। আর ইতিহাস-সচেতন মানুষই কেবল বদলে দিতে পারে অশান্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত পৃথিবীর চেহারা। অতীত কাল, ঘটনাপ্রবাহ ও জীবন নিয়ে রচিত হয় বলে ঐতিহাসিক উপন্যাস পাঠকের সামনে ইতিহাসকে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করে তােলার পাশাপাশি পাঠক-মনে সৃষ্টি করে জীবনদায়িনী প্রেরণা।