ইতিহাসের জানালা

৳ 160.00

লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
প্রকাশক নবপ্রকাশ
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849265474
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৬৮
সংস্কার 4th Print, 2020
দেশ বাংলাদেশ

অতীত সবসময়ই শিক্ষাদাত্র্রী। যদিও অনেকেই বলে থাকেন ইতিহাস এটাই শিক্ষা দয়ে যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

আমরা সর্বদা আশাবাদী ইনসান। হতাশাবাদীদের শ্লেষা নিয়ে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারি না। যদিও আমরা শিক্ষাহীন দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ি প্রায়ই। তবু আমাদের কাছে অতীত যেমন, তেমনি বর্তমানও সামনে এসে শিক্ষয়ত্রী হিসেবে বাহুডোর প্রসারিত করে দাঁড়ায়। ইতিহাস থেকেই তো তুলে নিতে হয় বর্তমান পৃথিবীর সফলতার পদছাপ। ইতিহাসের আবেদন তাই আমাদের ধর্মীয় এবং জাতীয় জীবনে অবশ্যম্ভাবী।

এ গ্রন্থ ছোট ছোট করে অনেক ইতিহাসের স্মরণ দিয়েছে। নিকট অতীত, সুদূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিককাল- ইতিহাসের নানাস্তরে ব্যাক্তি, ঘটনা, স্থান, যুদ্ধ, বিজয়, বেদনা জায়গা করে নিয়েছে গ্রন্থের সাদা পাতায়। কেবল জ্ঞান নয়, এই গ্রন্থ ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে মানুষের মাঝে মানুষের ইনসানিয়্যাত।

ইতিহাসপাঠে বাঙালিসমাজে অনীহা যেমন আছে, তেমনি ইতিহাসসন্ধানী অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরও কমতি নেই। বইয়ের বাজারে নজর দিলে এর সত্যতা নজরে আসে খুব স্বাভাবিকভাবেই। আমরা তাই আশাবাদের কথা বলতে চাই, শোনাতে চাই, জানাতে চাই সবাইকে। এ গ্রন্থ আশাবাদেরই এক নির্ঘুম দলিল।

গ্রন্থে যুত্থবদ্ধ এসব ইতিহাসের অধিকাংশ এর আগে সাপ্তাহিক লিখনীতে ধারাবাহিকভাবে ‘অতীতের জানালা’ নামে প্রকাশ হয়েছে। পাঠকের পাঠ সুবিধার্থে সেসব ইতিহাসে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে যৌক্তিক কারণেই। কেননা পত্রিকার পাতার ফিচার আর বইয়ের পাতার পঠন এক জিনিস নয়। কিছুটা ইতিহাস নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে বইটিকে সামগ্রিকতার বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য করতে।

ইতিহাস তালাশের এই সফরে দুজন সুহৃদ আমাকে অকারণে সাহায্য করেছে। সাদ রহমান এবং তানজিল আমির- আমার প্রিয় দুই প্রতিভালক্ষী তরুণ। তাদের রচিত কিছু ইতিহাস এখানে সংযোজতও হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হোক, সে আশাবাদ আজীবনের।

লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ