প্রিয় প্রেয়সী নারী

৳ 180.00

লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
প্রকাশক নবপ্রকাশ
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849265542
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৮৪
সংস্কার 5th Published, March 2022
দেশ বাংলাদেশ

‘প্রিয় প্রেয়সী নারী’
নারী ছোট পোশাক পরে বাইরে বেরুলে সেটাকেই কি আমরা নারীমুক্তি বলবো? নারী পুরুষের সঙ্গে একই টেবিলে বসে কাজ করলে সেটাকেই আমরা নারী অধিকার বলে প্রসন্ন হবো? নারীকে প্রকা- প্রসাধন মাখিয়ে দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করলে তবেই কি সে পুরুষের সমান অধিকারী হয়েছে বলে ধরে নেবো?
এ এক অদ্ভুত স্লোগান কাঁধে নিয়ে ঘুরছি আমরা। নারীর নারীত্বের অধিকারের কথা বলে তাকে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছি পুরুষের ভোগ্যপণ্য হিসেবে। তাকে পণ্য বানিয়ে তুলে দেয়া হচ্ছে আধুনিক দাসবাজারে। দাসবাজারের নিলামে দরদাম হচ্ছে তার রূপ, শরীর, ত্বকের কমনীয়তা। মিডিয়া, শোবিজ, মডেলিং, পণ্যবাজার, বিউটি ইন্ড্রাস্ট্রি, সোস্যাল নেটওয়ার্ক, প্রতিযোগিতাময় পৃথিবী প্রতিদিন নারীকে ঠেলে দিচ্ছে পুরুষের কামনাতাড়িত চোখের সামনে। আধুনিক পৃথিবীতে এ এক নব্য দাসপ্রথা।
বাস্তবতা কি এর থেকে ভিন্ন? ‘প্রিয় প্রেয়সী নারী’ গ্রন্থে সমাজ-চিন্তক লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এমন সত্য বাস্তবতাকেই তুলের ধরার চেষ্টা করেছেন বারবার। এ কারণেই এ গ্রন্থ হয়ে উঠেছে সমাজের প্রত্যেক নারীকে একজন সত্যিকারের নারী হিসেবে সজ্জিত করার প্রেয়সী প্রয়াস। ইসলামের ঐশ্বরিক নির্দেশনায় নারীকে ভূষিত করা হয়েছে তার কাক্সিক্ষত উচ্চাসনে। তাকে দেখানো হয়েছে সত্যিকারের নারী অধিকারের সুরম্য রাজপথ।

লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ