“কবিতাসমগ্র” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
“… আমরা যখন জন্মগ্রহণ করলাম দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হলাে, অথবা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মধ্যে পড়ল পৃথিবী। সর্বত্রই ব্ল্যাকআউটের শহর। জাপানী বােমা পড়বে – এই ভয়। এমন সময়ে আমরা জন্মালাম। আরেকটু বড় হতেই আমরা দেখলাম আন্দোলন, দাঙ্গা, দেশভাগ। দেশভাগ হতে না হতেই আমাদের অনেককে আজন্ম নিজেদের দেশ বলে যেটা জেনেছি, সে-দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। এই যে পটভূমি, এই পটভূমির কারণে আমাদের মানসিকতা তিরিশের কবিদের মানসিকতা থেকে অনেকটা ভিন্ন। তিরিশের কবিরা নরকের কথা বলেছেন, নিঃসঙ্গতার কথা বলেছেন। মানুষ মাত্রই নিঃসঙ্গ, কিন্তু নিঃসঙ্গতারও মাত্রা আছে। তিরিশের কবিরা যে-নরকের কথা বলেছেন, যেমন সুধীন দত্তর কবিতায়, সে-নরক তাঁরা তাত্ত্বিকভাবে দেখেছেন। কিন্তু আমরা সেই নরকেই বড় হলাম এবং সেই নরকে বড় হওয়ার পর, সেই নরকে বসবাস করার যে অভিজ্ঞতা, সে-অভিজ্ঞতা বিভিন্ন কবিতায় বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে।”