“বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত” বইয়ের ভেতর থেকে:
আমি আর এলিটা দাড়িয়ে আছি ব্যালকনিতে। জমে যাওয়া ঠান্ডায় ঘুমিয়ে গেছে পুরাে পারাে। নিস্তব্ধ পৃথিবী। এলিটার নিঃশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট। শব্দের সাথে অনুমান করা যায় তার নাকের কাছটা তিরতির করে কেঁপে উঠছে। শরীরে পুলওভার চাপিয়েছি। আমার না, এলিটার। কে জানতাে ফের এই বেজক্যাম্পেই এসে ঠেকবাে, কে জানতাে আবার আমাদের দুজনকে প্রকৃতি এই বারান্দায় এনে ফেলবে, ঠিক এমনই নিশিরাতে। ঠিক যেন সেই রাত ফিরে এসেছে, যেখান থেকে ভালাে-মন্দের শুরু। যেখান থেকে টর্নেডাে শুরু হয়ে পরিণত হলাে শান্ত সমুদ্রে। আজকের সাথে সেদিনের পার্থক্য এক জায়গায়। সে রাতে চাঁদ ছিল না। আজকের ঘুমন্ত পারাের আকাশে এক থালা নিঃসঙ্গ চাঁদ রয়েছে। পারাের শীত, কুয়াশার চাঁদর জোছনাকে মলিন করতে পারেনি বটে। ফিনকি দিয়ে ঝরছে চাদের আলাে। এলিটার মুখ যেন গ্রামের মেলা থেকে কেনা এক টুকরাে ঝকঝকে আয়না, আলাে প্রতিফলিত হয়ে চাঁদকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে।