ওই চাঁদ তোমার আমার

৳ 400.00

লেখক তৃধা আনিকা
প্রকাশক ছাপাখানা প্রকাশনী
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849472175
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২২৮
সংস্কার ৩য় মুদ্রণ
দেশ বাংলাদেশ

“ওই চাঁদ তোমার আমার” বইয়ের পরিচিতি:
একরাতে আমি স্বপ্ন দেখলাম। সমুদ্র ভর্তি নীলপদ্ম! গাঢ় নীল হয়ে গেছে পুরাে সমুদ্র, এত অপূর্ব দৃশ্য যে, আনন্দে আমার কান্না পেয়ে গেলাে। আমি হাত বাড়িয়ে সেই পদ্ম তুলতে গেলাম, কিন্তু ঢেউয়ের তােড়ে তা দূরে চলে গেলাে; আমি আবার তুলতে গেলাম, ঢেউ এসে নিয়ে গেলাে। বারবার আমি পদ্ম তুলতে যাই বারবার ঢেউ আসে। আমি আশেপাশে তাঁকিয়ে অস্থির হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কেউ এসে আমায় নীলপদ্ম তুলে দেবে? হাতে দিয়ে বলবে, নিন, পদ্ম গালে ছুঁইয়ে মন শান্ত করুন। আর তখন আমি নীলপদ্ম গালে নয়, বুকে জড়িয়ে মন শান্ত করবাে। একসময় কেউ এলাে, নীল শাড়ি পড়ে। আমি তাঁর দিকে তাঁকিয়ে অভিভূত! সমুদ্রের নীলপদ্ম আর তাঁর মাঝে অদ্ভুত মিল। আমি তাঁকে দেখে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, —তুমি কি নীলপদ্মের রাণী? নীলপদ্মের সমুদ্রটা কি তােমার? সে রাগী রাগী চোখে তাঁকিয়ে কঠিন স্বরে বললাে, —আমি নীলপদ্মের রাণী হতে যাবাে কেনাে? আমি মেঘের রাজ্যের রাণী, আমার কথা ছাড়া বৃষ্টি হয়না। আমার নাম মেঘবতী… বলেই সে হাঁটতে লাগলাে। আমি সমুদ্র ভর্তি নীলপদ্ম ফেলে তাঁর পিছু পিছু ছুটতে লাগলাম! ওই সমুদ্রের নীলপদ্ম আমি চাই না। আমার এই মেঘরাজ্যের নীলপদ্মের মত রানীকে চাই। ছুটছি তাে ছুটছিই…. এই ছুটোছুটির মাঝেই আমার ঘুম ভাঙে, স্বপ্ন ভাঙ্গে! আমি হাত দিয়ে দেখি আনন্দে আমার চোখ ভিজে আছে। আমার নীলপদ্ম ভরা সমুদ্রের মত জীবনে, আমি এই মেঘবতী নামের নীলপদ্মের পিছনে ছুটে বেড়াই, আর এতেই যে আমার আনন্দ! এই আনন্দের নাম কি? “মনের টান” নাকি অন্যকিছু? সেই অন্যকিছুটা কি?

এই একটা ব্যাপার লিখতে এলেই আমার মাথার ভেতর ফাঁকা হয়ে যায়। ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কেন জানি মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করে না। আরেকটু গুছিয়ে বললে, বলার সাহস পাই না। তবে আজ ঠিক করেছি নিজের কিছু কথা বলবোই। আচ্ছা, লিখা ভালো লাগার জন্য কি লেখকের পরিচয়টা আদৌ জরুরি? আমার মনে হয় না। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এমন অসংখ্য লিখা আমার ভালো লাগার আছে, যাদের লেখককে আমি দেখিনি। হয়তোবা লেখকের ছবি বইয়ের পেছনে ছিলও। কিন্তু আমি দেখিনি। কারণ লিখার মাধুর্য আর গল্পের চরিত্র আমায় টেনেছে, লেখক নয় । ফেলুদা যখন পড়ি, আমি ভেবেছি ওটা তোপসেরই লিখা অন্য কারো নয়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচিতির জন্য আমি কিন্তু একটুও ব্যাকুল হইনি। শার্লক হোমস যখন পড়ি, আমি স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে একদিনও চিনতে চাইনি। বরং বারবার আমার কল্পনায় শার্লক হোমস সামনে এসেছে। বারবার আমি লিখা আর গল্পের চরিত্রতে মুগ্ধ হয়েছি। একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া কি জানেন? তাঁর লিখার জন্য পাঠকের ভালোবাসা। সুতরাং তৃধা আনিকার ব্যক্তিগত জীবন আপাতত লুকানোই থাক। তার চেয়ে বরং ভূধা আনিকা তার গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সেজে নিজের মনের কথাগুলো অনায়াসে বলে যাক । দেখা যাক না, কি হয়। পাঠক তার লিখাকে কেমন ভালোবাসে, দেখি!


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ