“এলাচিফুল” বইয়ের ভেতর থেকে:
আমাদের হাতের একপাশে তিনটা ঘর আরেক পাশে খোলা ছাদ। দুটো ঘরের পরে সিড়ির ঘর। দিনের বেলায় ছাদে হলুদ, মরিচ, ধনে শুকানো হলেও বিকেলের দিকে সব তুলে ফেলা হয়। ছাদ থাকে ঝকঝকে, পরিস্কার। এখন চৈত্র মাস আর প্রচণ্ড গরম পড়ে। আমাদের ছাদটা আমাদের খুবই পছন্দের জায়গা। এখানে আমরা বষ্টিতে ভিজি, ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে পাটি বিছিয়ে এখানে সবাই একত্রে বসি। চৈতালি জোছনা রাতগুলো এই ছাদে রহস্যময় পরিবেশ তৈরি করে। মাথার উপর থালার মতো বিশাল একটা চাঁদ। চাঁদের নরম আলো যেন অদৃশ্য সিড়ি বেয়ে খুব আস্তে নেমে আসে। পাশের বাগানে গাছপালার উপরে এসে চাঁদের আলো থেমে যায়। সেখানে জমাট বাঁধে অন্ধকার। ছাদের উপর নরম আলোয় আলােকিত হয়।