আমি ছোটোবেলায় প্রচণ্ড ভয় পেতাম। এতটাই ভয় যে, অনেক রাত ঘুমাতে পারতাম না এই ভেবে যে, খাটের নিচে কিছু হয়তো আছে! কাঁথা মুড়ি দিয়ে ভয়ে কাঁপতাম। কিন্তু সেই আমি এখন নির্ভিক, আর কোনো কিছুতেই ভয় পাই না। ভয়ের সেই অনুভূতি মরে গেছে। তাই নিজেই নিজের ভয় পাওয়া সকল কিছুকে বাজি ধরে রহস্যের অন্যতম অতিপ্রাকৃতিক অংশে পৌঁছে গেছি। যার জন্যে কখনো কখনো গেছি ভারতে, আবার কখনো নিজ দেশেরই কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কী আছে এই ‘নিরালা কুটির’-এ? শুনেছি পেত্নির বসবাস! আবার ভারতে অঘোরীরাও নাকি বেশ ভয়ানক হয়। আচ্ছা, জিনেরা কি আসলেই মানুষের বন্ধু হতে পারে? নাকি এরা শুধু ক্ষতিই করে? কালাম কাকার রূপ নিয়ে আসলেই কোনো জিন এসেছিল? এই সকল প্রশ্ন যেমন আমার কাছে আসে, ঠিক তেমনই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমার অনেক ভালোভাবেই জানা। কারণ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই যে আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জেনেছি কিংবা যখনই সুযোগ হয়েছে বিশ্বস্ত কারও কাছ থেকে শুনেছি, তাই সেই অভিজ্ঞতাগুলোকে কেন্দ্র করেই লিখেছি এই বই। রহস্যে ঘেরা, বাস্তবিক অভিজ্ঞতার একটি ঝুলি আমার লেখা এই ‘নিরালা কুটির’।