বড়ো সুন্দর এই পৃথিবী, বড়ো মায়াময় এই জীবন ! তবু, প্রায়শই সুন্দরের বাঁকে বাঁকে বাস করে বিবর্ণ অসুন্দর আর মায়াময় বুকের ভেতরে প্রবাহিত হয় মায়াহীন সময়ের ক্রুর স্রোতঃস্বিনী। জেগে ওঠার পরিবর্তে আমরা হারিয়ে যাই, ভেসে ওঠার বদলে ডুবে যেতে থাকি। ফিরে আসার সুযোগ থাকে না আপন পৃথিবীতে। কখনও কখনও অন্ধকার আর মৃত্যুই রাজত্ব করে চতুর্দিকে। তারপরও কি থেমে থাকে জীবন ? না। তালুর উল্টোপিঠে চোখ মুছতে মুছতে আমরা গেয়ে উঠিÑ ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। / তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে…’। কেন না, মৃত্যু নয়; শেষপর্যন্ত আমরা জীবনকেই ভালোবাসি।
‘যে পাখি ফিরতে পারে না’-র গল্পগুলো বেদনা ও আনন্দের, মায়া ও মায়াহীনতার, ভালোবাসা ও শূন্যতার; সর্বোপরি জীবনের। আর গল্পের ভাষা ! সাহিত্যের ভাষা কি মন্তব্যের বাণীতে ধরা দেয়? না। তাকে চোখের আলোয় পড়ে নিতে হয়।