“সাহিত্যের ইতিহাসের বাজার-চলতি গ্রন্থগুলির অধিকাংশেই তিনি একেবারে স্থান পান নি, যেখানে পেয়েছেন সেখানেও তাঁর প্রসঙ্গে কয়েক ছত্র-মাত্র ব্যয় করেছেন সাহিত্যের ইতিহাসকারেরা। সমকালেই যিনি উপেক্ষিত, উত্তরকালে অবজ্ঞাত এবং সাম্প্রতিকে যিনি প্রায় বিস্মৃত, সেই দীনেন্দ্রকুমারের বহুবিচিত্র সাহিত্যসম্ভার আার সেগুলির শিল্প-সৌকর্ষের সম্বন্ধে আমরা এতকাল খোঁজ নেওয়ার অবকাশ পাইনি, প্রয়োজনও বোধ করিনি।অথচ বঙ্গসাহিত্যের জন্য আক্ষরিক অর্থে নিবেদিত প্রাণ দীনেন্দ্রকুমারের রহস্যলহরী সিরিজের ২১৮ খানি গ্রন্থ, পল্লীকথা, পল্লীবৈচিত্র্য র মতো পরিচিত গ্রন্থ ছাডাও অজস্র লেখা আমাদের নিশ্ছিদ্র উদাসীনতা ও নীরবতায় রয়ে গেছে কালের গহ্বরে । ১৮৭৩ সালে অবিভক্ত নদীয়ার মেহেরপুরে তাঁর জন্ম।হরিনাথ মজুমদারের অন্যতম শিষ্য তিনি। ভারতী পত্রিকায় লেখার সূত্রে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গলাভ। রবীন্দ্রনাথের সুপারিশেই দীনেন্দ্রকুমার অরবিন্দের বাংলার শিক্ষক হয়ে বরোদায় যান। সাপ্তািহক বসুমতীর সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।এরকম হাজারো বঙ্গসংস্কৃতির কাজেই উদযাপিত হয়েছে তাঁর সারা জীবন। এই বইটি বিস্মৃতপ্রায় দীনেন্দ্রকুমার জীবন ও সাহিত্যসাধনার ইতিবৃত্ত।”