মানবসভ্যতা নদীর কাছে আপদমাথা ঋণী। —এমন জানা কথার পুনরুচ্চারণ এখানে জরুরি। শিলাবতী নদী উপত্যকার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নপ্রমাণগুলি উপস্থাপিত করে লেখক একাদিক্রমে জনজাতি-অধ্যুষিত এই প্রাকৃতিক সম্পদশালী অঞ্চলটির ভূমিজ মানুষের সভ্যতা-সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরেছেন। এই অঞ্চলে বিকশিত জৈনধর্ম একদিন তার উদারতা-অহিংসা-সত্য-ত্যাগ ইত্যাকার বাণীর মধ্য দিয়ে মৃত্তিকালগ্ন মানুষকে দিয়েছিল সুবহ জীবনের সন্ধান। অঞ্চলসংস্কৃতির আলোচনায় যে ধরনের গোষ্ঠীগত যাপনের গৌরববোধ এবং সহানুভূতিমূলক বিচার পদ্ধতির প্রয়োগ জরুরি—তা রামামৃতর পক্ষে সহজাত বলেই লেখকের শ্রমনিষিক্ত স্বেদবিন্দুর অনুভব ধরা পড়বে পাঠকের কাছে।