বিয়ে ব্যাপারটাকে যতটা কঠিন ভেবেছিল, তারচেয়ে বেশি কঠিন মনে হলো জুবায়েরের কাছে। ‘কবুল’ শব্দটাতে মাত্র তিনটি বর্ণ, এই তিনটে বর্ণ উচ্চারণ করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে এলো, তিনগ্লাস পানি চেয়ে খেয়েও নিলো ও। মাত্র তিনটে বর্ণ উচ্চারণ করলেই একটা মানুষ সম্পূর্ণ ওর নিজের হয়ে যাবে, সেই তিনটা বর্ণের একটা সম্পূর্ণ শব্দকে খুব সহজ মনে হলো না ওর কাছে। পুরো বর্ণমালা এসে ওর চোখের সামনে নাচতে থাকল। মনে মনে ক,খ,গ,ঘ একবার মনে করে নিলো। ‘কবুল’ শব্দটার মাঝের ব বর্ণটা সেখানেও ঝামেলা করল। সহজপাঠ বইটাতে ‘ব’ বর্ণটা দুইবার কেন আছে, এই প্রশ্নটা ওর মাথায় আরও ঝামেলা করে দিলো। প,ফ,ব নাকি য,র,ল,ব কোন ব টা আসল ব? কোন ব এর উচ্চারণ কেমন? কোন ব দিয়ে কবুল বলবে ও? এক কবুল বলতে গিয়েই এলোমেলো হয়ে গেলো টিপটপ, চৌকস অফিসার, একবারে প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পাশ করা পুলিশ ক্যাডার এএসপি জুবায়ের আহমেদ। কেন যে বিরাট দল বেঁধে, বরযাত্রায় শতক ছাড়িয়ে লোকে বিয়ে করতে আসে আজ বুঝল ও। কিন্তু জুবায়ের এসেছে একা। একেবারে একা।