দীর্ঘ বন্দি জীবনশেষে ফোরাতের অদূরে গড়ে ওঠা বস্তিতে প্রবেশ করে হাসান। আমির কোব্বাদকে বন্ধু জাহদাদের মৃত্যুর খবর দিতে আসে। চোখাচোখি হয় স্বর্ণরূপী আমিরজাদি মাহবানুর সাথে। মাহবানুর ভাই মিয়ানদাদকে শোনায় জাহাজে বন্দিজীবন ও ফেরার হওয়ার গল্প। উল্টো জানতে পারেÑ পিতা ওতবা ও মাকে নির্মমভাবে খুন করেছে হরমুজান। ইরানি দুঃশাসনের কবলে নিজের বাড়ি ও এলাকা ধ্বংসের আখ্যান। প্রতিবাদী হয় হাসান। তুরজকে খুন করে উদ্ধার করে আনে তলোয়ারবিদ্ধ ছোটভাই সোহেলকে। আত্মরক্ষায় ছুটে যায় বাহরাইনের শাসক মামা কায়েস বিন আরকামের কাছে। পথিমধ্যে অর্জন করে মানবতার মুক্তির দীক্ষা। হাসান যোগ দেয় মুসলিম শিবিরে। খালিদ বিন ওয়ালিদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে কায়সার কিসরা। হাসান জয় করে দজলা ও ফোরাতের মধ্যবর্তী খ্রিষ্টান এলাকা। মাদায়েনে প্রবেশ করে জেলের ছদ্মবেশে। গ্রামেগঞ্জে মাছ বিক্রি করে জেনে নেয় মুসলমানের বিরুদ্ধে খ্রিষ্টানদের যুদ্ধপ্রস্তুতির তথ্য। কাকতালীয়ভাবে খোঁজ মিলে সেই মাহবানুর। ঘটে প্রণয়। খলিফা ওমরের দিকনির্দেশনা ও নিবেদিতপ্রাণ মুজাহিদদের শাহাদাতের তামান্নায় পর্যায়ক্রমে সর্বত্র বইতে থাকে শান্তির সুবাতাস। ইসলামি ইতিহাসের এই জীবন্ত আখ্যান জানতে পড়ুন হেজাযের কাফেলা।