ভূমিকা
বইটির প্রথম প্রকাশ ১৯২৫ ইংরেজি সালে। অপেক্ষাবাদের মৌল নীতির কোনো পরিবর্তন তারপর হয়নি। কিন্তু তত্ত্ব এবং প্রয়োগের বিস্তার বেড়েছে অনেক। সেইজন্য দ্বিতীয় এবং তার পরের সংস্করণগুলিতে কিছু পরিমার্জনা করতে হয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংস্করণের বাট্রান্ড রাসেলের অনুমোদন নিয়ে এই পরিমার্জনা আমি করেছি। এই চতুর্থ সংস্করণের পরিমার্জনার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার। বর্তমান জ্ঞান এবং মতবাদের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষার জন্য আমি এবারও কয়েকটি বাক্যের পরিবর্তন করেছি। এবং যেখানে আমার মনে হয়েছে এগুলি আর সঠিক নয়, সেখানে সম্বন্ধ পদ পরিত্যাগ করতে চেষ্টা করেছি।পুংলিঙ্গের ভিতরে স্ত্রীলিঙ্গও অন্তভূক্ত এই চিরাচরিত রীতি পরিত্যাগ করতে আমি যথাসাধ্যা চেষ্টা করেছি। ষাট বছর আগে হয়তো এ রীতি গ্রহণীয় ছিল, অন্ততপক্ষে এ রীতি বরদাস্ত করা হতো। এখন আর অবস্তাটা সেকম নয়। তাছাড়া স্ত্রী স্বাতনন্ত্র্য বিষয়ে বারস্ট্রান্ড রাসেল তাঁর সমসাময়িকদের তুলনায় প্রগতিশীল ছিলেন। সেজন্য মনে হয় এই পরিত্যাগ করা বারস্ট্রান্ড রাসেল অনুমোদন করতেন। সেগুলির চরিত্র ততটা ভৌত নয়, যতটা দার্শনিক। অবশ্য তাঁর ভিতরে অনেক কিছুই আছে যার সঙ্গে আমি একমত নই।
ফেলিক্স পিরানী
সূচিপত্র
*দৃষ্টি ও স্পর্শ : পৃথিবী ও নভোমণ্ডল
*কি ঘটে এবং কি পর্যবেক্ষণ করা হয়
*আলোকের বেগ
*ঘড়ি আর ফুটরুল
*স্থান-কাল
*বিশিষ্ট অপেক্ষাবাদ
*স্থান-কাল অন্তর
*আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় বিধি
*আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় বিধির প্রমাণ
*ভর, ভরবেগ, শক্তি এবং ক্রিয়া
*প্রসারমান মহাবিশ্ব
*প্রচলিত রীতি এবং প্রাকৃতিক বিধি বল-এর অবলুপ্তি
*পদার্থ কি
*দার্শনিক ফলাফল
* বাট্রান্ড রাসেলের সংক্ষিপ্ত জীবনী