ফ্ল্যাপে লিখা কথা
সাংবাদিকদের প্রায় সবাই এখন টেলিভিশনমুখি। কলমের চেয়ে মাইক্রোফোনের কদর বেশি। অনেকে পত্রিকার পাশাপাশি টেলিভিশনেও কাজ করছেন। মনোযোগটা বেশি টেলিভিশনে। কিন্তু পত্রিকা এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতার যে তফাৎ আছে, এটা সংবাদকর্মীদের অনেকে এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। মাঠ পর্যায়ের সংবাদ কর্মীরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন অনেকটাই। টেলিভিশন সাংবাদিকতা যে কারিগরী নির্ভর, এটাও খুব কম সংবাদদাতারই জানা আছে। কারিগরী দৈণ্যতা এবং বেতন-ভাতার বঞ্চনা মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের প্ররোচিত করে অনৈতিকতার কাছে আত্নসমর্পনের ,গ্রন্থে এ কথাগুলো উচ্চারিত হয়েছে অভিজ্ঞতার আলোকে। তৃণমূল সাংবাদিকতাকে গতিশীল করা, সেখানে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান। এই সব কিছুর জন্যই নিউজরুমেরও যে জবাবদিহীতা থাকা দরকার। প্রয়োজন প্রত্যে চ্যানেলরই স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি তাগিদ থাকলো এই বিষয়গুলোর প্রতিও। সেই সঙ্গে প্রচলিত ধারনার বাইরে মাঠ থেকে আরও কি খবর তুলে আনা যায়, সেই খবর সংগ্রহ এবং পরিবেশন প্রসঙ্গেও ‘মফস্বলে টিভি সাংবাদিকতা’য় কিছু আলোচনা রইলো।