বিবাহ ও নৈতিকতা (পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের বই)

৳ 200.00

লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল
প্রকাশক অবসর প্রকাশনা সংস্থা
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848793374
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৪৩
সংস্কার 1st Published, 2011
দেশ বাংলাদেশ

“বিবাহ ও নৈতিকতা” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
এ-কালের নৈতিকতার উৎস দুটি; পিতৃত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং এই বিকট ধারণা যে, যৌনতা দুষ্ট। তিনি যৌনতাকে দুষ্ট মনে করা অন্যায় মনে করেন। তবে তিনি আত্মসংযমের পক্ষেও কথা বলেছেন কিন্তু সংযম পালন করতে হবে স্বীয় স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়। অপরের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করার জন্য। তাছাড়া তিনি বিবাহের মূল লক্ষ্য মনে করেন সন্তান লালন-পালন, সন্তান লালন-পালনের ব্যাপার না-থাকলে তিনি বিবাহ প্রথার বিরােধিতা করতেন সর্বান্তকরণে।

সূচিপত্র
* বিবাহ ও নৈতিকতা
* মাতৃতান্ত্রিক সমাজ
* পিতৃতান্ত্রিক সমাজ
* লিঙ্গপূজা, কৃচ্ছ্রসাধন ও পাপাচার
* খ্রিষ্টীয় নীতিশাস্ত্র
* রোমান্টিক প্রেম
* নারীমুক্তি
* যৌনতা-সম্পর্কিত জ্ঞান নিষিদ্ধকরণ
* মানব জীবনে প্রেমের স্থান
* বিবাহ
* বেশ্যাবৃত্তি
* পরীক্ষামূলক বিবাহ
* এ যুগে পরিবারের অবস্থা
* পরিবার ও ব্যক্তিমনস্তত্ত্ব
* পরিবার ও রাষ্ট্র
* বিবাহবিচ্ছেদ
* জনসংখ্যা
* সুপ্রজনন বিদ্যা
* যৌনতা ও ব্যক্তির উন্নতি
* যৌনতা ও মানুষিক মূল্যবোধ
* উপসংহার

(১৮ মে ১৮৭২ – ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক.যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" দর্শনশাস্ত্রে মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজম এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার।
রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাঁকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাঁকে আবার কারাদনণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ১৯৭০ সালে বারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ