কবিতায় গ্রামজীবন নতুন কোনো বলার বিষয় নয়। তবুও একই ভাবনার রকমফের হয় সময়ের সাথে সাথে। অনুভবস্পর্শী ব্যাপারগুলো তাই মানুষকে নাড়া দেয় বহুভাবে। কবিতায় তারই প্রকাশ হয় নতুন আঙ্গিকে। বৃক্ষ, সবুজ আর গ্রাম ছাড়া বাংলা কবিতাকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। বাংলার গ্রামগুলোর যা সৌন্দর্য তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। এর জন্য অবশ্য অনুভব থাকা দরকার, খুব শক্ত অনুভব; সচ্চিদানন্দানুভব। মানুষ প্রতিনিয়ত চলছে- চরৈবেতি, চরৈবেতি। কাব্যের এই পথচলা ঘুরে ঘুরে অতীতে, ভরা গ্রামে, পুঁইডালের শৈশবে। শুধু ব্যক্তি অনুভব নয় বরং- সামষ্টিক অনুভব; বিশ্বাস ও মানুষের অকৃত্রিম সম্পর্কের কাছে ফিরিয়ে নেবে কবিতা। শহর থেকে গ্রাম, খণ্ডিত মানুষ থেকে পরিপূর্ণ মানুষের চিত্রপট আঁকা আছে কবিতার শব্দরাশিতে। গৃহস্থের সংসারে জড়িয়ে পেছিয়ে থাকা মায়াময় জগতের নিবিড় কথা বলবেন সঞ্জয় সরকার। কখনো ছন্দে কখনো গদ্যের আদলে থাকবে গূঢ় প্রেমে নিমজ্জন। সম্প্রদায়গত ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বগ্রামের স্বপ্ন দেখেন কবি। আত্মকেন্দ্রিক চেতনা, মাৎস্যন্যায়, প্রতিহিংসার চর্চা, ক্ষমতার উদগ্রহ বাসনা থেকে পৃথিবীর শুশ্রূষা চান কবি। কবির অন্বেষা- বসবাসের জন্য ‘পরিপূর্ণ পৃথিবী’র।