“নিমজ্জিত জলপুষ্প” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ফুলবানুর পিঠ উদোম। তার শরীরটা উপুড় হয়ে আঁধডোবা হয়ে আছে নদীর পাড় লাগোয়া শিমুল গাছের নিচ বরাবর।
চুলগুলো চারপাশে ছড়ানো। হয়তো গাছের শেকড়ে শরীরটা আটকে আছে। এখন ফাল্গুন মাস। শিমুল ফুল জলে ভেসে লুকোচুরি খেলছে। কিছু ফুল ভেসে যায় জোয়ারে, কিছু ফুল আটকে থাকে। ঠিক উপরেই ভিড় জমেছে, পুলিশ আসার অপেক্ষায় সবাই।
রুহুলের মনে হলো, গতরাতে কবি সাহেব কবিতার নাম বলেছেন, নিমজ্জিত জলপুষ্প। তার রূপকের বাইরে কিছুই হতে পারে না। ফুলবানু এখন এক নিমজ্জিত জলপুষ্প!
বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
রুহুলদের বাড়ি থেকে কিছুদূরেই খরস্রোতা পানগুছি। সারাদিন অবিচ্ছিন্ন স্রোত বয়ে চলেছে। দুপাড় তার তাণ্ডবে ভেঙেচুরে একাকার। ভীষণ জেদী, একগুঁয়ে পুরুষ! যে কাউকে মানে না। অধীনস্থ খালগুলোকে নিজের স্রোতে উত্তাল করে তোলে। নিজের বুকে ভেসে যাওয়া কচুরিপানাকে উদ্দাম নৃত্য করতে বাধ্য করে তোলে।