“সিদ্ধার্থ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
সিদ্ধার্থ উপন্যাসে এক তরুণ জীবনের সারমর্ম উপলব্ধির জন্য সংসার ত্যাগ করে, তারপর পরিশ্রান্ত এবং ক্ষণিকের আবেগের বশে পুনরায় সংসারে প্রত্যাবর্তন করে। এক পুত্র সন্তানের জনক হয়, কিন্ত জাগতিক লােভ-লালসার কোন্দলে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আবারাে সংসার ত্যাগ করে। প্রায় বিধ্বস্ত, মৃত্যুর দোড়গােড়ায় পৌঁছে যাওয়া সিদ্ধার্থ। এক নদীর তীরে বিশ্রাম নিতে বসে, তখনই সে এক দৈববাণী শুনতে পায়। এই দৈববাণীই তার সত্যিকার জীবনের সূত্রপাত। সূচনা ঘটে জাগতিক দুর্ভোগ সহ্য করার কঠিন অনুশীলন, জাগতিক সকল সুখ বিসর্জন দেয়ার প্রবল দৃঢ়তা, প্রশান্তি এবং অবশেষে, সর্বোচ্চ আত্মােপলব্ধি- বােধিসত্ত্ব প্রাপ্তি।