ফ্ল্যাপে লিখা কথা
আনিস রহমান এ সময়ের গল্পকার, কিন্তু তার গল্পের অন্তর্জগৎ চিরকালীন , পরিচর্যা আধুনিক। মানব মনোলোকের দুর্জ্ঞেয় ও রহস্যময় সত্যকে তাঁর স্বরূপে তিনি সনাক্ত করতে চান তাঁর গল্পে। ফলে প্রতিটি গল্প স্বতন্ত্র হয়েও একধরনের পারস্পরিকতায় আবদ্ধ। কোন কোন গল্পে কাহিনী হয়তো পাওয়া যায়।, কিন্তু তা তার অন্বিষ্ট নয়। কখনো সূক্ষ্ণতম কোন অনুভূতি, কখনো চিন্তার কোন নতুন তরঙ্গ, কখনো পরিচিতি চিন্তার কোন নতুন তরঙ্গ, কখনো পরিচিত কোন দৃশ্যের অন্তরাল, নিসর্গের কোন অনুষঙ্গ, সমাজ বা রাজনীতির কোন মোচড় তাঁর গল্পের কেন্দ্রীয় উপজীব্য হয়ে ওঠে। ভাষার স্বাতন্ত্র ও সাবলীলতা তাঁকে সহায়তা করে, দার্শনিক প্রত্যয় তাঁর চৈতন্যের স্তরান্তর ঘটায়। পরিচিত মুখ ও পরিপার্শ্ব অপরিচয়ের অন্তরালে নিক্ষিপ্ত হয়ে রচনা করে এক অভিনব ও অদ্ভুত বিস্ময়। মানবিক মাধূর্য তাঁর প্রতিটা গল্পে তীব্র হয়ে ওঠে।
সূচিপত্র
* জলতরঙ্গে বৈরী ছায়া
* অন্ধাকার দিয়ে অন্ধকার ঘোচাতে চেয়েছি
* আরণ্যক হৃদয়
* ধর্ম বাজারের গল্প
* আকাশ যখন ঘুমিয়ে
* বিপন্ন মানচিত্রে খন্ডিত সবুজ
* বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি
* চেনা মুখ অচেনা সুর
* সন্ধ্যার ধূসর ডায়েরি
* ছায়া জুড়ে বিষণ্নতা