গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন

৳ 500.00

লেখক মওদুদ আহমদ
প্রকাশক দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল)
আইএসবিএন
(ISBN)
9789845062008
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৮৪
সংস্কার 3rd Printed, 2015
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারার প্রধান কারণ হলো ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একদলীয় শাসন কায়েম এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতের সামরিক বাহিনীর হ্স্তক্ষেপ। এদেশের প্রথম কুড়ি বছরের মধ্যে পনের বছরই দু’জন সামরিক প্রধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হয়, যেখানে উভয়ের মধ্যে যেমন ছিল সাদৃশ্য তেমনি ছিল বৈসাদৃশ্যও। জিয়া এবং এরশাদের সময় সাংবিধানিক শাসন, লোক প্রশাসন এবং আদালতের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাঁর সামরিক আইন বা ডিক্রীর মাধ্যমে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর দেশ শাসনে রাজনীতিবিদদের চাইতে আমলাদের উপর বেশী নির্ভর করেছেন। তখন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমলা ও টেকনোক্র্যাটদের কাছে চলে যায় । ফলে সামগ্রিক শাসন ব্যবস্থার চরিত্র ও রূপ বদলে যায় এবং দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়।

বইটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান মওদুদ আহমদ কর্তৃক রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। উল্লেখ্য যে , দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার পুনঃপতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি উল্লিখিত দুই সরকারেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন।
সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে সামরিক শাসকরা কিভাবে দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপাদানসমূহকে বিনষ্ট করে এই গ্রন্থে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বইতে লেখক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি চমৎকার চালচিত্র তুলে ধরেছেন।
এটা শুভ দিক যে, বাংলাদেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও এই বিষয়টি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে এই বইতে লিপিবদ্ধ ঘটনা এবং ইস্যুসমূহ বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের যাত্রাকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

সূচিপত্র
* কৃতজ্ঞতা স্বীকার
* মুখবন্ধ
* প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এর বিস্তারিত বর্ণনা
* দ্বিতীয় অধ্যায় : জিয়াউর রহমানের শাসনকাল এর বিস্তারিত বর্ণনা
* তৃতীয় অধ্যায় : গণতন্ত্রে উত্তরণ নীতিমালা ও কর্মসূচীসমূহ ও আরো অনেক কিছু
* চতুর্থ অধ্যায় : প্রশাসন ১১৩ এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
* পঞ্চম অধ্যায় : জিয়াউর রহমানের পতন এর অনেক আলোচনা
* ষষ্ঠ অধ্যায় : রাষ্ট্রপতি সাত্তার ও সেনাবাহিনী এর বিস্তারিত আলোচনা
* সপ্তম অধ্যায় : ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি এর বিস্তারিত আলোচনা
* অষ্টম অধ্যায় : তৃতীয় হস্তক্ষেপ এর বিস্তারিত আলোচনা
* নবম অধ্যায় : আধুনিকায়ন ও সংস্কারসমূহ এর বিস্তারিত আলোচনা সমূহ

Moudud Ahmed
১৯৪০ সালের মে মাসের ২৪ তারিখ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগণঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে বৃটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স্‌ ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশুনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠক তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন। ১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১-এ মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদে মওদুদ আহমেদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রীত্ব ছাড়াও মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এই দলের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টির সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ