বাংলাদেশে গণতন্ত্র (১৯৯১ থেকে ২০০৬)

৳ 750.00

লেখক মওদুদ আহমদ
প্রকাশক দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল)
আইএসবিএন
(ISBN)
9789845062152
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪৯০
সংস্কার 1st Published, 2015
দেশ বাংলাদেশ

“বাংলাদেশে গণতন্ত্র (১৯৯১ থেকে ২০০৬)” বইটি সর্ম্পকে কিছু তথ্যঃ বইটি বাংলাদেশের রাজনীতির উপর ইংরেজিতে লেখকের রচিত ৬ষ্ঠ বই Bangladesh: A study of the Democratic regimes এর বঙ্গানুবাদ। বইটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল আবধি সংবিধান সংশোধন ও আইন সংস্কারের প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ন বিষয় আলোচিত হয়েছে যেগুলি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ওই ঐতিহাসিক প্রক্রিয়াকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করার জন্য লেখক এখানে অত্যন্ত গভীর ও নির্ভুলভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণের বিষয়গুলো বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, বেশ কিছু পরিবর্তন যেমন উপকারী তেমনি কিছু অত্যন্ত বিতর্কিত যা এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতির লক্ষে পুনর্বিচার করা প্রয়োজন। এ বইয়ের অপর উল্লেখযোগ্য ও তথ্যবহুল অংশটি হচ্ছে বিচারব্যবস্থায় বিভিন্ন পরিবর্তন ও রাজনীতিকরণের প্রসঙ্গটি যার উপর দেশের গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভালো-মন্দ গভীরভাবে নির্ভরশীল। আর লেখক স্বয়ং এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।বইয়ে আলোচিত সমসাময়িক প্রসঙ্গ, যেমন রাজনৈতিক দলের চরিত্র, একই সঙ্গে ভাবনা উদ্রেককারী এবং তা আলোচ্য সময়ের রাজনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর স্বভাব, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ইনডেমনিটি বিষয় সম্পর্কেও যথেষ্ট তথ্য হাজির করেছেন।সরকার অথবা বিরোধীদলে থাকা অবস্থায়, সবসময়, মওদুদ আহমদ একজন সমালোচনামূলক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি এই বইতে গত ২০ বছরের রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে গবেষণাসম্বলিত বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। আর তিনি যে বিষয়গুলো তুলে এনেছেন, সেখানে কোনো কিছুই তাঁর নজর এড়িয়ে যায়নি।

Moudud Ahmed
১৯৪০ সালের মে মাসের ২৪ তারিখ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগণঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে বৃটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স্‌ ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশুনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠক তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন। ১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১-এ মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদে মওদুদ আহমেদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রীত্ব ছাড়াও মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এই দলের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টির সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ