ফ্ল্যাপে লিখা কথাশ
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেস্টসেলিত লেখক স্টেফিন মেয়ার পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন ভিন্ন ধর্মী দুই চরিত্র -বেলা সোয়ান এবং এ্যাডওয়ার্ড কুলিন। বেলা আকর্ষণীয়া, সুন্দরী তম্বী তরুণী,কিন্তু এ্যাডওয়ার্ড সুদর্শন তরুণ ভ্যাম্পায়ার। এই অসম চরিত্রের দুই তরুণ-তরুণী, একে অপরের ভালোবাসার আবর্তে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। ফরকস্ নামক ছোট্র শহরে দু’জনের ভালোবাসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা এবং এক রহস্য। তাপর আবার বেলাকে তাড়া করে ফিরছে জেমস নামের দুর্ধর্ষ এক ভ্যাম্পায়ার। ওই দুর্ধর্ষ ভ্যাম্পায়ারের মরণ কামড় থেকে এ্যাডওয়ার্ড কি পারবে তার ভালোবাসার বেলাকে রক্ষা করতে? এটা শুধু একদল ভ্যাম্পায়ারের কাহিনীই নয়- এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করার মতো ভালোবাসার কাহিনী…
প্রাক্কথন
আমার কীভাবে মৃত্যু হবে, তা নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই- যদিও গত কয়েক মাস হলো আমার বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে- কিন্তু আমি কোনোভবেই বিষয়টাকে এভাবে চিন্তা করি না।
দীর্ঘ রুমটা আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে পার হলাম-শিকারির রক্তচক্ষুকে একেবারে উপেক্ষা করে। ওই শিকারি পেছন থেকে আমার ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে রেখেছ।
আমি জানি যে এটা মৃত্যুর একটা নিশ্চিত পথ। এই স্থানটাতে কেউ একজন আছে- এমন একজন যাকে আমি ভালোবাসি। এমনকি তাকে যুদি আমি জ্ঞানী বলে অভিহিত করি তাহলেও ভুল হবেনা। তাকে কোনো কিছুর মাধ্যমে হিসেবের ভেতর আনা সম্ভব নয়।
জানি যে, কাঁটার আঘাত কখনোই আমি সহ্য করতে যাবো না, মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছেও আমার নেই। কিন্তু আতংক আমাকে ঠিকই তাড়া করে ফিরছে। সুচিন্তিত কোনো সিদ্ধান্ত যে গ্রহণ করবো, সেই উপায় এখন আর নেই। তুমি যেমনটা আকাঙ্ক্ষা করছো, তার বাইরেও জীবন যখন তোমাকে কোনো স্বপ্ন দেখায়, শেষ পর্যন্ত অবশ্য তুমি তা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে না।
শিকারি বন্ধুর মতো হেসে, অলস ভঙ্গিতে এগিয়ে এসে আমাকে হত্যা করবে।