ফ্ল্যাপে লিখা কথা
রবীন্দ্রনাথের ৫৮, সদ্য বারাণসী থেকে আগত রাণু তখন মাত্র ১২। তারপর?.. দুই অসমবয়েসি প্রাণের মধ্যে কোন এক শৌভিকমায়ায় রচিত হয় গভীর গহণ সম্পর্ক, যা মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে চিঠিপত্রে, আবার ডুব দেয় অতলে। ঠিক ছ’বছর টিকে ছিল এই বন্ধনহীন গ্রন্থি! যেখানে পৌঢ় রবি, সেখানেই কিশোরী-যুবতী রাণু। শান্তিনিকেতন,কলকাতার জোড়াসাঁকো থেকে শিলং পাহাড়ের পাইন বরেন ঘন ছায়, সর্বত্র লেগে থাকে ‘রবি ও রাণুর আদরের দাগ’। তার ওপর?.. এ সম্পর্কের পরিণতি কোথায়? ছিন্ন হল গাঁথা মালা, এসে গেল রাণুর অবশ্যম্ভাবী বিবাহ। কিন্তু রাণু কি ভুলতে পারেন ‘পুরানো সেই দিনের কথা?’ ভোলা যায় কি, বিশেষ করে যদি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ হন প্রেমিক? জীবনের বিষণ্ন গোধূলিতে সেই রাণু নিভৃতে লিখে চলেছেন ভানুদাদাকে উদ্দেশ করে তাঁর শেষ চিঠি!.. মর্মস্পর্শী, অশ্রুসজল, অতৃপ্ত প্রেম-বাসনায় উদ্বেলিত সেই ‘শেষ চিঠি’ প্রকাশিত হল!