“জীবন জুড়ে প্রহর” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বছর চল্লিশের আনিসের জীবনের চিত্রবিচিত্র নানা অভিজ্ঞতার অভিঘাত এই উপন্যাসে এসেছে। এসেছে শাকিলের জীবনেও। আনিস নাটককার পরিচালক, কিছু করার ইচ্ছেয় জাগরূক, কিন্তু সময়ের বিষাদ ও পরিতাপ মানসিক জীবনে আনে নানা ভাঙচর, জীবনযাত্রাতেই সে ভয় পায়। শাকিলও। অন্তর্মুখীন, চাকুরিজীবনে ঘুষের পরিমণ্ডল, অফিসে সে কোণঠাসা। হতাশা তার পারিবারিক জীবনেও। যেন পালাবার পথ নেই। দুটি চরিত্রের চার দেওয়ালের ভেতর দেখা হয়। কখনাে আত্মচারিত হয় তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে তাদের । সম্পর্কের নানা দ্বন্দ্ব উঠে আসে। তাদের দেখা হয় ঈপ্সিত দুই নারীর সঙ্গেও। জীবন ও সময়ের মারে তারা নানাভাবেই আক্রান্ত। এই জীবন থেকে বেরনাের পথ খোঁজে তারা। জীবনের ভিন্নতা ও ক্লান্তি এই উপন্যাসে উঠে এসেছে নানা ঘটনার ভিতর, নানা কথােপকথনের ভিতর। ভালাে-মন্দের দ্বন্দ্ব ও আলােছায়া। পরিব্যাপ্ত সময়কেই চিহ্নিত করেছে এই উপন্যাস। উপায়হীন মুক্তির বাতাবরণ। যেমন, তেমন নিরুপায়তার ভুবন অন্বিত হয়েছে দুই চরিত্রের বিষণ্ণতা, ক্রোধ ও অসুখের ভিতর। এই আখ্যানে আধুনিক জীবনের বয়ান উঠে এসেছে, উঠে এসেছে বিশ্বলােকের সংকটসংকুলতা।