“হত্যার প্রমোদ জানি” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
এই উপন্যাসে একজন ব্যক্তির অসহায়তার বিশ্বকে খুঁজেছেন তিনি। ব্যক্তির কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত ব্যাপ্ত এই বিপন্নতা আমাদের সময়ের অন্ধত্বকে খুঁড়ে দেয়। চল্লিশ-উত্তর বয়সের শমিতকে বন্ধু অনীকের মৃত্যুতে শ্মশানে পৌছতে হচ্ছে। বন্ধু-স্ত্রী রানির সঙ্গ সে ভালােবাসছে। প্রয়ােজন হয় তার আরও রানির। নিয়তিতাড়িত হয়ে অনীকের পূর্বান্ধবীর সঙ্গে এক ঠিকানা-বিহীন বাড়ি খুঁজতে গিয়ে পৌছে যায় সদ্য খুন হওয়া এক যুবকের মৃতদেহের পাশে। অসর্তকে সঙ্গিনী ফেলে আসে তার মােবাইল সেটটি। খুন না করে খুনি সাব্যস্ত হওয়ার সন্দেহের ভয় তাড়িয়ে নিয়ে যায় নায়ককে এক রানি থেকে আর-রানির সম্পর্কের আশ্রয়ে। কখনও সহযাত্রী বন্ধুনির সঙ্গে লুকোচুরি খেলা খেলতে ভালাে লাগার কথা নিয়ে থাকতে ভালােবাসে। কখনও স্বপ্নের ভিতর মৃত মানুষদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। ভাবনা ও লেখায় এই উপন্যাস আখ্যানবিশ্বের এক নতুন ইঙ্গিত খুঁজে দেবে নিঃসন্দেহে।