ফ্ল্যাপে লেখা কথা
শত সহস্র বছর ধরে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য মানুষ। পৃথিবীতে মানুষের জন্ম যেমন আলোকিত ঘটনা তেমনি মৃত্যু হচ্ছে অন্ধকারময়। জন্ম ও মৃত্যুর এই প্রকৃতিগত খেলার মাঝেই বসবাস বিশ্বের লক্ষ কোটি মানুষের।। স্থলভাগের নানা সমাজে উপস্থিত এমন সহস্রাধিক চরিত্রের এক প্রতিনিধির নাম সঞ্জনা। গল্পে বরাবরই সঞ্জনাকে স্পর্শ করে পরিবার, সমাজ ও জীবন দেখায় প্রতিকূলতা। গল্পে সহপাঠী-বন্ধু, পরিবার-প্রতিবেশীকে নিয়ে কয়েক দশকের যাপিত জীবনের আলাপ সৃষ্টি করে সঞ্জনা নামের চরিত্রটি। ছোট্ট অথচ নশ্বর জীবনে সেখানে যোগাযোগ ঘটে প্রেমের, মেলবন্ধন ঘটে মানুষের ভাবাবেগ ও জন্ম-মৃত্যুর অনুভূতির। আবেগ, প্রকৃতির নৈসর্গিকতা, সর্ম্পকের বিশ্বাস- ছলকলা, উৎসব-পার্বণ সবকিছুই এক ক্যানভাসে কালি ও কলমের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে “কিছু বিষাদ হোক পাখি” তে।। বস্তুবাদ নাকি ভাবুকতা, সূক্ষ্ণ অনুভূতি নাকি বাস্তবতা, দ্বন্দ্ব নাকি মিলন, টানাপোড়েন নাকি স্বচ্ছলতা এমন বহুমাত্রিক পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ও জীবনবোধের পরীক্ষার ফলাফল দেখা যাবে গল্পের শেষাংশে। “কিছু বিষাদ হোক পাখি”- এক চরিত্রের গল্প তবে কয়েক চরিত্রের পুরো জীবনের গল্পও। প্রতিদিনই ভোরের আলো ফোটার অনেকটা সময় পর যখন সন্ধ্যা প্রদীপ নামে তখন একটি কথা বরাবরই হৃদয়ে বাজে-জীবনে যত কিছুই ঘটুক না কেন, মানুষ মূলত একা।
লেখক পরিচিতি
মাহরীন ফেরদৌস। ২০১০ সাল থেকে একুয়া রেজিয়া নাম নিয়ে, ব্লগিং-এর মাধ্যমে তার লেখালেখির সূচনা। স্বাধীনচেতা, অন্যমনা। জীবনানন্দ দাশের কবিতার ভীষণ ভক্ত। রবি ঠাকুরের সব লেখাই তাঁর প্রিয়। বিদেশী লেখকদের মধ্যে মাক্সিম গোর্কি, ও হেনরীর লেখা পছন্দ। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখিকে শ্রেষ্ঠ কাজ বলে মনে করেন। নিজের লেখার চরিত্রগুলো তাঁর বেশ আপন মনে হয়। ছোট গল্প সংকলন “নগরের বিস্মৃত আঁধারের” পর চলতি বছর লেখালেখির মিছিলে যুক্ত হলো “কিছু বিষাদ হোক পাখি”। মানুষের মনের সব কষ্টকর অনুভূতি পাখির মতো করেই উড়ে যাক। জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি নিয়েই বেঁচে থাকুক পৃথিবীর লক্ষ কোটি মানুষ।