গল্পগুলো বাড়ি গেছে –ফ্ল্যাপে লেখা কথা
গল্প লিখতে পারার যন্ত্রণাটুকু কখনো কখনো গল্প না লিখতে পারার কষ্টকে ছাপিয়ে চলে যায়। জীবনের অযাচিত আর অবিরত ভাঙ্গাগড়ায় আন্দোলিত হয় শব্দ। আর তখন তার প্রতিচ্ছবি ঘিরে জমে ওঠা অনুভূতিগুলো চলে যায় অচিনপুর। মধ্যরাতে মন খারাপগুলো যেমন অস্পষ্টতায়ও ধরা দেয় অনায়াসে, তেমনি রোদ জ্বলজ্বলে দুপুরের পিচগলা অনুভূতিও মনে বাসা বাঁধে ঘুণপোকার মত। লিখতে লিখতে শব্দগুলো একসময় বড়ো হয়। মুঠোয় ধরে রাখা আকাশ চিনে। বিস্মৃত স্বপ্ন চেনে, অভিমানী বাস্তবতার সাথে আকাশকুসুম কল্পনার মিশেলে তারা তৈরি করে অগুনতি গল্প। সেই গল্পগুলো বুনোফুলের মতো হঠাৎ হঠাৎ আমাদের কারো জীবনে চলে আসে হুট করেই।
আমরা যারা অজানা সময়ের প্রতীক্ষায় জ্যোৎস্না গুনি, আকাশ খুঁজে মেঘের ভেতর ছবি আঁকি, রোদ বাঁচিয়ে হাতের আড়ালে বৃষ্টি জমাই, কোন না কোন গল্প ফিরে আসার অপেক্ষায়, আমরা কি তখন ভাবি, নিয়তির মত গল্পকেও চাইলে বদলে ফেলা যায় না?
বরং, ঘাসফুলের ছোট্ট অভিমানী ফুলের মত গল্পরা ফিরে আসে না, গন্তব্য খুঁজে নিয়ে গল্পগুলো শুধুই বাড়ি যায়… গল্পগুলো বাড়ি গেছে…