রামকৃষ্ণ পরমহংস—কেবলমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগ-সমৃদ্ধ পাঠ্যবস্তু নয়। কালীসাধক গদাধরের রামকৃষ্ণ হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে অজস্র ঝাক্ষুব্ধ কাহিনিমালা।
উনিশ শতকের এই যুগন্ধর ব্যক্তিত্বের ‘যতমত ততপথ’ দর্শনে আকৃষ্ট হয়েছেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বহু মনীষী। নব্যবঙ্গের যুবকেরাও পতঙ্গের মতাে মরীয়া হয়ে ছুটে গেছেন তারই পানে। তিনি আশা জাগিয়েছেন। আলাে দেখিয়েছেন তাঁদের। অধিকন্তু অবক্ষয়িত সমাজের দগদগে ক্ষতস্থানগুলিকে তিনি চিহ্নিত করে নিরাভরণ লৌকিক ঢঙে আরােগ্যের নির্দেশও করেছেন। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির আলােয় সেই অসাধারণ দার্শনিক-চূড়ামণি শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যরকম পুনর্মূল্যায়ন করেছেন ড. শ্যামাপ্রসাদ বসু। যােলােটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত দীর্ঘদিনের গবেষণাঋদ্ধ ‘যতমত ততপথ’ গ্রন্থটি বাংলা প্রবন্ধসাহিত্যে নিঃসন্দেহে অভিনব সংযােজন।