“শ্রেষ্ঠ অবনীন্দ্রনাথ” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
নালক’ও শকুন্তলা’-র মতাে প্রাচীন সাহিত্যাশিত জাতক-কাহিনী অবলম্বনে রচিত। ‘রাজকাহিনী’-র গল্প-উৎস খুঁজতে আমাদের যেতে হবে টডের রাজস্থানে। বুড়াে আংলা’-র উৎস খুঁজতে তাে পৌঁছে যেতে হয় সুইডেনে। দেশি-বিদেশি যে কাহিনী-ই অবনীন্দ্রনাথ নির্বাচন করেছেন, আপন মনের মাধুরীতে তা সব সময়ই হয়ে উঠেছে আশ্চর্য মৌলিক। বুড়াে আংলা’ পড়তে গিয়ে কখনােই মনে হয় না, দেশান্তরের গল্প। রিদয় একান্তই আমাদের ঘরের ছেলে।
অবনীন্দ্রনাথের গল্প বরাবরই মুখের ভাষায়, কথকতার ভঙ্গিতে লেখা। গল্প-বলার এই মেজাজের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছে শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে তৈরি আশ্চর্য সব ছবি। শব্দ সাজিয়ে ছবি তৈরিতে অবনীন্দ্রনাথ অনবদ্য। নিজেই তাে বলেছেন, ‘ওবিনঠাকুর ছবি লেখে। | ভাষা যেন কথা বলে। কখনও দুঃখে মুষড়ে পড়ে, কখনও আনন্দে নৃত্য করে।