বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিমিতা, পুরো উপন্যাসেই যাকে পরি বলে সম্বোধন করা হয়েছে। পরিমিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে তার ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়রের প্রেমে পড়ে, যার মেয়েদের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। তারপরও পরিমিতা নিজের ভালোবাসার কথা জানায় তাকে এবং উপেক্ষিত হয়। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পরেই, পরিমিতা জানতে পারে তার মনের মানুষটি সমকামি। এদিকে দুজন সমকামি পুরুষের প্রেম মেনে নেয় না সমাজ। সবখানে তারা তিরস্কারের সম্মুখীন হয়। তারপরও অটল থাকে তাদের প্রেম। কিন্তু মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিমিতা। একটা সময় ইগো জন্ম নেয় এই সমকামি জুটির সম্পর্কে এবং যথারীতি ফাঁটল ধরে সম্পর্কে। আর দশজনের মতো পরিমিতাও শুরুতে দুজন সমকামি যুগলের প্রেমকে হালকা ভাবে নেয়। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার কারনেই পরিমিতাকেও অনেক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। ত্রিভুজ প্রেমের এই সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় প্রকৃতি। প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেয় এই প্রেমের ভবিষ্যত।