“বাংলাদেশ : বদলে যাওয়া বাস্কেট কেস” বইয়ের লেখকের কথা:
‘বাংলাদেশ : বদলে যাওয়া বাস্কেট কেস’ গ্রন্থের লেখাগুলাে বিভিন্ন সময়ে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত হয়েছে। লেখার ভেতরেই উল্লেখ রয়েছে প্রকাশের সময়। সমসাময়িক ঘটনার বিশ্লেষণ রয়েছে এগুলােতে। তবে কেবল পত্রিকা পাঠকের সাময়িক প্রত্যাশা পূরণ নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি চিত্র মিলতে পরে বলেই লেখাগুলাে গ্রন্থিত করার আয়ােজন। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ- এটাই শৈশব থেকে শুনে আসছি। চারদিকে অভাবী মানুষ। স্কুলের পাঠ্য বইয়ে দারিদ্র্যের চিত্র। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে এত এত এত গবির মানুষের দুঃখগাথা। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতাে ধনী দেশগুলাের কিছু লােখ আমাদের নিয়ে উপহাস করে। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কিছু কর্মকর্তাও মনে করেন যে, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ নারী-পুরুষ-শিশুর আত্মদানে জন্ম নেওয়া দেশটি উন্নতির সঠিক পথে নেই। বাংলাদেশকে ঠিক পথে চালাতে কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না সেটা নিয়ে তাদের কতই না পরামর্শ। দেশের মধ্যেও হতাশ মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। বিশেষ করে যারা সম্পদের পাহাড় গড়তে পারছে তাদের কেউ কেউ তাদের কাউকে কাউকে দেখা যায় এ দলে। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত যাদের গাত্রদাহের কারণ, তাদের কাছেও বাংলাদেশ থমকে আছে, কিংবা পিছু হটছে। এগিয়ে যাওয়ার কোনাে সম্ভাবনাই তারা দেখতে পান না। এসবের মধ্যেই কিন্তু এগিয়ে চলছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ। আরও এগিয়ে যাওয়ার, ওপরের ধাপে ওঠার ভিতটাও ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি আমরা। কী পাইনি তার হিসাব অবশ্যই মেলাতে চাই। কিন্তু যা পেয়েছি তার জমিনে বড় সৌধ নির্মাণে ব্যস্ত থাকাটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। এ গ্রন্থের বিভিন্ন লেখাতে রয়েছে তারই প্রতিফলন।